মিয়ানমার থেকে আজ এল ১১০৩ টন পেঁয়াজ
মিয়ানমার থেকে নৌপথে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। আজ সোমবার ২১টি ট্রলারে ১ হাজার ১০৩ টন পেঁয়াজ এসে পৌঁছেছে। গতকাল রোববার এসেছিল ৭৯০ টন পেঁয়াজ।
টেকনাফ স্থলবন্দরের কাস্টমস সুপার আফসার উদ্দিন প্রথম আলোকে জানান, আজ বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে ১১০৩টন পেঁয়াজ এসেছে। ১২জন ব্যবসায়ী এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। পেঁয়াজগুলো খালাস করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়েছে।
বন্দরের এই কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বারের ৯৯ দশমিক ৮০০; শওকত আলম চৌধুরীর ১০৪ দশমিক ৪৫১; কামরুজ্জামানের ৯৯ দশমিক ৮০০; আব্দুস শুক্কুরের ৩৩ দশমিক ৪২০; নুর মোহাম্মদের ৩৪ দশমিক ৫০০; মোহাম্মদ মাসুমের ৯১ দশমিক ৪০০; মোহাম্মদ হাশেমের ৪১; এম. জুয়েলের ৫৯ দশমিক ৮৮০; এম.এ হাশেমের ৯৯ দশমিক ৮০০; নুরুল কায়েসের ১৯৯ দশমিক ৬০০; মিটু দাশের ৫৯ দশমিক ৮৮০ ও মোহাম্মদ সেলিমের ১৭৯ দশমিক ৬৪০ টন পেঁয়াজ এসেছে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, ভারত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর মিয়ানমার থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯হাজার ৪৪৭ টন পেঁয়াজ এসেছে। এর মধ্যে চলতি নভেম্বর মাসে (আজ বিকেল পর্যন্ত) ২০দফায় ১৭ হাজার ৯৪৯ টন পেঁয়াজ এসেছে।
আমদানিকারকেরা জানান, দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য কিছু ব্যবসায়ী মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছেন। আসার পথে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন বলেন,মিয়ানমার থেকে আসা পেঁয়াজগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে খালাস করা হচ্ছে। বিকেল পর্যন্ত ৬৫টি পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের উদ্দেশে স্থলবন্দর ছেড়ে গেছে। আরও ২০টির মতো ট্রাকে পেঁয়াজ লোডিং করা হচ্ছে। রাতের মধ্যে সেগুলোও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যাবে।
Comments are closed.