মানবতার সেবায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত প্রবাসী মিলন চৌধুরী

চিকিৎসা করার কিংবা ওষধ কেনার জন্য টাকা নেই , গরীব বাবার কন্যার বিয়ের খরচ সামাল দিতে পারছেন না, টাকার জন্য ভর্তি হতে কিংবা বই কিনতে পারছেন না দরিদ্র শিক্ষার্থী,এমন অসংখ্য দরিদ্র মানুষের পাশে দাড়িয়ে মানবতার এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন মাত্র ৩২ বছরের যুবক মিলন চৌধুরী। তিনি চাটখিল উপজেলার রামনারায়নপুর ইউনিয়নের বৈকুন্ঠপুর গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের পূত্র। মধ্যপ্রাচ্যেও দেশ কাতারে ব্যাবসা করছেন তিনি। মসজিদ মাদ্রাসা স্কুল এতিমখানা থেকে যুব কিশোরদের খেলাধুলা সব স্থানেই মিলনের উৎসাহ মুলক অনুদান তাকে সবার কাছে প্রিয় পাত্র করে তুলেছে।

প্রবাসী এই দানবীর সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সমাজ কর্মী এড. মোঃ ইয়াসিন করিম ওয়াসিম জানান “মিলন চৌধুরী আমার পাশের গ্রামের যুবক এবং উনাদের পরিবারের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। শৈশব বয়স থেকেই এই যুবক সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছেন। প্রবাস জীবনে নিজেকে অর্থনীতিক ভাবে স্বাবলম্বী করার পর থেকে নীরবে নিবৃতে সমাজের অসংখ্য অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এই যুবক। সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মুক্তহস্তে দান করে যাচ্ছেন প্রবাসী এই যুবক। ইয়াসিন করিম আরও বলেন, মিলন চৌধুরী উনার সেবামূলক কাজগুলোকে প্রচারে আগ্রহী নই, তিনি নিরবেই সমাজের বিভিন্ন অসহায় শ্রেণীর সাহায্য করতে পছন্দ করেন। মিলন চৌধুরীকে সমাজের সামর্থ্যবানদের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে ইয়াসিন করিম বলেন, আমাদের সমাজে অনেকেই সামর্থ্যবান হলেও অসহায় মজলুমের পাশে বিপদে আপদে দাঁড়ানোর মানুসিকতা অনেকের নাই। প্রবাসী যুবকের এই নীরব সমাজ সেবা অন্য সামর্থ্যবানদের মধ্যে সমাজের অসহায় মানুষের প্রতি তাঁদের দায়িত্ব ও কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দিবে বলে মনে করেন ইয়াসিন করিম। দরিদ্র, অসহায় কিংবা সহায়সম্বলহীনদের জন্য সাহায্যের সুপারিশ করে কখনোই খালি হাতে ফিরতে হয় না। বস্তুত অসহায় কাউকে কোন যৌক্তিক সাহায্যের বিষয়ে না বলার সামর্থ্য মিলন চৌধুরীর নেই।
মিলন চৌধুরীর পাশের গ্রামের সাবেক মেম্বার আবুল কাসেম বলেন, আমি অনেক দিন যাবত বিভিন্ন রোগে ভুগছি, চিকিৎসার সামর্থ্য আমার নেই। তিনি বলেন মিলন চৌধুরী প্রবাসে থেকেও আমার এই বিপদের সময়ে খবর রাখেন এবং মাঝে মাঝে লোক মারপথে চিকিৎসার জন্য সাহায্য পাঠান। সর্বশেষ তিনি মিলন চৌধুরীর জন্য হাত তুলে মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট দোয়া করেন।
রামনারায়নপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও মল্লিকা দীঘির পাড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাবিবুর রাহমান পাটোয়ারী মিলন সম্পর্কে বলেন,তাকে আমি বাল্য কাল থেকেই চিনি এবং জানি। কিশোর বয়স থেকেই মিলন মানুষের উপকার করার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করতে পচন্দ করত। বিদেশে সে নিজের জন্য কি করেছে জানিনা তবে এলাকার মানুষের জন্য সে যা করে যাচ্ছে তা সত্যি অকল্পনিয়।
মিলন সম্পর্কে জানতে তাকে ফোন দেয়া হলে তিনি বলেন আমি কোন প্রচারের জন্য কাজ করিনা । আমার মত নগণ্য মানুষ দিয়ে যদি সাধারন মানুষের বিন্দু পরিমান ও যদি উপকার হয় তাতেই আমি ধন্য।