মনোনয়ন বাতিলে সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই

81

মনোনয়ন বাতিলের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার, এতে সরকার জড়িত নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, উই হ্যাভ নাথিং টু ডু। আমাদের কিছু করার নেই। গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের আইনে আছে মনোনয়নপত্র বাতিল করার। সরকার কোনোভাবেই এর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। যদি তাই হতো, তাহলে কি আমরা আমাদের সবচেয়ে বড় শরিক দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব বাদ পড়বেন, এটা কি আমরা চাইবো? খালেদা জিয়ার বিষয়টি তো আদালত আগেই সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছে।

দুই বছরের বেশি যারা কারাদণ্ডে দণ্ডিত, তারা নির্বাচন করতে পারবেন না।
এটা উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত, উই হ্যাভ নাথিং টু ডু উইথ দ্যাট। আমাদেরও তো অনেকে বাদ গেছে, সেখানে আমাদের কি করার আছে? মনোনয়নপত্র যেসব কারণে বাতিল হয়, সেগুলো তো নির্বাচন কমিশন সব সময় আমলে নেয়। নতুন করে তো কোনো আইন করা হয়নি। বিএনপির অভিযোগ আওয়ামী লীগের জয়ের পথ প্রশস্ত করতে মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী মওদুদ সাহেব। খুব বিশ্বস্ত মাধ্যম থেকে জানানো হয়েছিল যে, তার মনোনয়ন পত্রে কিছু কিছু ত্রুটি আছে। আমি তখন মন্তব্য করেছিলাম মওদুদ আহমদ সাহেব নির্বাচন না করলে আমি খুব কষ্ট পাবো। তা না হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন সেখানে হবে না। আমার মধ্যে কিন্তু এই মানসিকতা কাজ করে না।

২০ দলীয় জোটের বৈঠকের পর কর্নেল অলি আহমেদ অভিযোগ করে বলেছেন, এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে টিকে থাকা যাবে না-এর প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, অলি আহমেদ সাহেব আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি কিছু কিছু সমস্যা তুলে ধরেছিলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যাপারে। আমি তখনই তাকে বলেছি যে দেখুন, এখন তো প্রশাসন, পুলিশ, নির্বাচন সব কমিশনের অধীনে। তারপরও আমি দলের সেক্রেটারি হিসেবে চেষ্টা করবো যাতে আপনার এলাকায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কোনোভাবে ক্ষুণ্ন না হয়। আমি সেখানে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি, আমরা কোনো অবস্থাতেই এক তরফা কোনো কিছু সৃষ্টি করে নির্বাচনে লড়াই করতে চাই না। গণতন্ত্র দুই চাকার একটি সাইকেল।

এক চাকা ক্ষমতাসীন দল এবং আরেক চাকা বিরোধী দল। কোন চাকায় কে থাকবে এটা জনগণই সিদ্ধান্ত নিবে। ফাঁকা মাঠে গোল দেবো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ধরনের ইচ্ছা কখনোই পোষণ করেন না। ফাঁকা বুলি দিতে চাই না, আমরা একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। বিএনপির থেকে নির্বাচন বর্জনের হুমকির মধ্যে বাস্তবতা কিছু দেখতে পাচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার বিশ্বাস তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর যে হুমকি দিচ্ছে তা দেশের জনগণের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে। এটাই আমি তাদের কাছে প্রত্যাশা করি। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এটা পরিষ্কার হতে থাকে যে কারা নির্বাচনে বিজয়ী হতে যাচ্ছে। এটা আপনারাও বুঝতে পারেন, আমার বলার দরকার নেই। কোনো ধরনের অহমিকা প্রকাশ করতে চাই না। সংখ্যাতত্ত্বের হিসাব আমরা দিতে চাই না। কারোরই অহংকার করা উচিত নয়। যদিও প্রতিপক্ষের সাজে না এমন অহংকারবোধ তারা করছে। এই অহংকার কিন্তু পতনের কারণ। কাদের সিদ্দিকী নিজের মনোনয়ন বাতিলের পর হতাশায় কত কথাই না বলছেন। আমরা তাকে কোনো কটু কথা বলবো না। আওয়ামী লীগের ভেতর সাইলেন্ট এক ধরনের বিদ্রোহের বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগাররা সময়মত ঐক্যবদ্ধ হয়ে যায়, এটা সময় আসলে দেখবেন।

ভোটের লড়াইয়ের জন্য নৌকা ছেড়ে ধানের শীষে যোগদানের বিষয়ে বলেন, এটা তাদের ব্যাপার। এ সময় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, রেজা কিবরিয়া কখনোই আওয়ামী লীগ করে নাই। কিবরিয়া সাহেব আমাদের সরকারে অর্থমন্ত্রী ছিলেন এমনকি দলেও তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন। আমাদের নেত্রীর খুব কাছের মানুষ ছিলেন কিবরিয়া সাহেব। কিন্তু রেজা কখনই আওয়ামী লীগ করেনি। ড. কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, মোহসিন হোসেন মন্টু এরা আওয়ামী লীগ করেছেন কিন্তু রেজা কখনো আওয়ামী লীগ করে নাই। আওয়ামী লীগ জোটের শরিকদের ৭০টির বেশি আসন ছাড়ছে না আবারো জানিয়ে বললেন, আমাদের জোটগত ও দলীয়গত প্রার্থী মোটামুটি চূড়ান্ত হয়ে আছে। তালিকা না দিলেও মৌখিকভাবে চূড়ান্ত করে বলা আছে। কিছু কিছু আসনে প্রত্যাহারে শেষ দিনেও হয়তো দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোটের দৌড়ে থাকতে চাইবেন। তাদের বিষয়ে আমাদের কঠোর বার্তা দেয়া আছে। আমরা প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। আমরা বোঝানোর চেষ্টা করছি, করবো।

আওয়ামী লীগাররা সময়মত ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাবে। তবে প্রত্যাহারের শেষ দিনের পর আর নরম থাকার সুযোগ নাই, আমরা আগেও বলেছি আজীবন বহিষ্কার করা হবে। ২০ দলীয় জোটের নেতা আন্দালিব রহমান পার্থ তার নির্বাচনী এলাকায় নিজ খরচে ইভিএম ব্যবহারের আবেদন করেছেন বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা ঐক্যফ্রন্টকে জিজ্ঞেস করুন, তাদের উদীয়মান তরুণ মেধাবী নেতা ইভিএম চান। তাহলে তারা কেন ইভিএম ব্যবহারের এতো বিরোধিতা করলেন? হাজী সেলিমের মনোনয়ন প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, হাজী সেলিমের বিষয়ে যদি বলি তাহলে, আমরা সেখানে দুজন কেন প্রার্থী দিলাম? আমাদের সন্দেহ ছিল হাজী সেলিম বাদ যেতে পারেন। সেজন্য আমরা আমাদের মহানগর দক্ষিণের সভাপতির নাম দুই নম্বরে রেখেছিলাম। অনেক জায়গায় আমাদের সংশয় ছিল প্রার্থী নির্বাচনী আইনে টিকবে কিনা, সেক্ষেত্রে আমরা কিন্তু দুইজন প্রার্থী দিয়েছি। আমরা ধরে নিয়েছিলাম হয়তো হাজী সেলিম টিকবে না। কিন্তু তিনি আইনে টিকে গেছেন এখানে তো আমাদের কিছু করার নেই।

আরও পড়ুন

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে বাতাসে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে লামচর গ্রামের সর্দার বাড়ি সংলগ্ন ডোবায় অর্ধগলিত একটি মরদেহ দেখতে পায় তারা।

চাটখিলে বৃদ্ধের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

বেলায়েত হোসেন আশা করেন দলীয় নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় সর্বসাধারনের ভালোবাসায় তিনি বিপুল ভোটে চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

চাটখিলে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলায়েত এর মতবিনিময়

নোয়াখালীর চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে চাটখিল কামিল মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি সাংবাদিক মেহেদী হাছান রুবেল ভুঁইয়া’র পৃষ্ঠপোষকতায় ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

তিনি দেশবাসীকে মাতৃভাষায় বুঝে বুঝে কুরআন পাঠের আহ্বান জানান।

সারাদেশে অর্থসহ কুরআন পাঠ দিবস পালিত

Comments are closed.