ভ্যানগাড়ি ও হাঁস পেয়ে বেজায় খুশি ধলিয়ার প্রতিবন্ধী ইদ্রিস
ফেনী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভিক্ষুক পূর্নবাসন কর্মসূচির আওতায় ভ্যানগাড়ি ও হাঁস পেয়ে বেজায় খুশি ধলিয়ার শারিরিক প্রতিবন্ধী মো. ইদ্রিস। সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম ধলিয়া গ্রামের মজু কামলা বাড়ির মৃত মজল হকের ছেলে ইদ্রিস জন্মগতভাবে শারিরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কোন ধরণের কাজ করার ক্ষমতা নেই।
জানা গেছে, বাড়ির পাশে একটা চা দোকান দিয়েছিল ইদ্রিস। কয়েক মাস পর দোকানের পুঁজি কমে যাওয়ায় দোকানটি বন্ধ করে দিতে হয়েছে। একপর্যায়ে ছোট ছেলেদের লজেন্স ও খেলনা বিক্রি করত ইদ্রিস। এভাবে কিছুদিন পর ওই স্থানের নাম হয়ে যায় লেংরার টেক। এখানেও বেচাবিক্রি কমে যাওয়ায় তিনি হুইল চেয়ার নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেন। জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রামাঞ্চলে ভিক্ষা করেই কেটে যায় প্রায় ৩০ বছর।
ইদ্রিস জানান, কখনো ১শ, ২শ অথবা পুরো দিনে ৩শ টাকা ভিক্ষার টাকা দিয়ে স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়ের সংসার চলত। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেয়। সংসারের খরচ বেড়ে গেলে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েন তিনি। স্কুল পড়–য়া দুই ছেলে বাবাকে নিয়ে ভিক্ষা করতে হয় বের হওয়ায় স্কুলে যেতে পারে না।
তিনি আরো জানান, আমার পরিবারে আয়ের কোন উৎস নেই। আজ যে ভ্যানগাড়ি পেয়েছি সেটির ভাড়া দিয়ে কিছু আয় হবে এবং তা দিয়ে আমার সংসার চলার একটা পথ তৈরি হল। হাঁসগুলো পালন করে আমার স্ত্রীও কিছু আয় করতে পারবে। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী ও জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
Comments are closed.