বিএডিসির ছোঁয়ায় উন্নয়নের এক নতুন মাত্রায় সুবর্ণচর

83

গহীন বন কেটে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে খেটে খাওয়া মানুষেরা তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা। মেঘনা তীর ঘেঁষে লবণ মাটিতে বসবাস এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষের। প্রকৃতির প্রতিকূলতায় পরিবার পরিজন নিয়ে প্রতিনিয়ত বেঁচে থাকার সংগ্রাম করতে হয় এখানকার মানুষদের।

নোয়াখালীর সর্বশেষ উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রায় সবগুলোই এক সময় নদী, নতুন নতুন চর এবং ঘন জঙ্গল কেটে গড়ে তোলা। এক সময় এটি নোয়াখালীর সদর উপজেলার সঙ্গে থাকলেও ২০০৬ থেকে পৃথক উপজেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। নবগঠিত এ উপজেলার আয়ের উৎস কৃষি এবং মৎস্য আহরণ। এখানকার অর্ধেকেরও বেশি মানুষের জীবিকা আসে কৃষি থেকে।

কৃষিকাজের ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় কৃষি বিষয়ক পরামর্শ পেয়ে থাকে। পাশাপাশি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরও এ অঞ্চলের কৃষি উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। এতে কৃষকদের জীবন জীবিকার মানোন্নয়ন হচ্ছে এবং স্বনির্ভর হচ্ছে দেশ ও জাতি।

এ অঞ্চলের কৃষকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ২০১৪ সালে সুবর্ণচর উপজেলায় ১শ একর জমি নিয়ে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। পরে এক বছরের মাথায় আরও ২৭ একর বৃদ্ধি করে। ডাল ও তৈল বীজ বর্ধন খামার এবং বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়ে কাজ শুরু করলেও লবণাক্ততার কারণে ডাল ও তৈলে এর পাশাপাশি কাজ করছে ধান, সূর্যমুখী, সয়াবিন, সরিষা, মুগ, খেসারি নিয়ে কাজ করছে। সেই সঙ্গে মহিষ, ভেড়া, হাঁস, মুরগি, তিথি এবং কবুতর নিয়েও কাজ করছে।

নিজেদের উৎপাদনের পাশাপাশি উপজেলার কৃষকদের নানাভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছে বিএডিসি। কৃষকদের অধিক উৎপাদন ও ভালো বীজ উৎপাদন এবং তাদের থেকে ন্যায্য দাম সংগ্রহ করে তারা। এতে ঊৎপাদনের পাশাপাশি দেওয়া হয় প্রশিক্ষণও। দেশের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আসে এখানে প্রশিক্ষণ নিতে। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি দর্শনার্থীরাও আসে ঘুরতে।

সরেজমিনে গিয়ে সাক্ষাৎ হয় কয়েকজন দর্শনার্থীর সঙ্গে। মো. খালেদ সাইফুল্লাহ নামে এক দর্শনার্থী জানান,  তিনি নোয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। প্রকৃতির এই সৌন্দয্য দেখতে তিনি প্রায় বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আসেন। তার দাবি, ডাল ও তৈল বীজ উৎপাদন খামার এবং বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণের পাশাপাশি দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে তুলবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় চরবাটা ইউনিয়নের চরমজিদ ইউনিয়ের চাষি মো. আবুল কাশেম জানান, বিএডিসির পরামর্শ এবং সহায়তায় আমাদের ধানের ফলন ও মৌসুমি ফসল অনেক ভালো হচ্ছে। একই মত প্রকাশ করেন সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চাষি আব্দুল মজিদ এবং আনোয়ার হোসেন।

উপজেলার চর আমান উল্যাহ ইউনিয়ের এক সয়াবিন চাষি মো. আবুল হাসেম জানান, এক সময় আমরা সয়াবিনে লোকশান গুণতাম। বিএডিসির সহায়তায় এবং পরামর্শে এ দুবছর আমাদের ফলন অনেক ভালো হচ্ছে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) এর সুবর্ণচর উপজেলার উপপরিচালক মো. মাহমুদুল আলম জানান, প্রথমে আমরা ১শ একর নিয়ে কাজ শুরু করলেও পরবর্তীতে ২৭ একর বৃদ্ধি করি। এ বছর আরও বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে গড়ে দৈনিক ১৫০ জন শ্রমিক কাজ করে। ভবিষ্যতে সুবর্ণচর উপজেলাকে আরও এগিয়ে নিতে কাজ করবে বিএডিসি।

আরও পড়ুন

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে বাতাসে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে লামচর গ্রামের সর্দার বাড়ি সংলগ্ন ডোবায় অর্ধগলিত একটি মরদেহ দেখতে পায় তারা।

চাটখিলে বৃদ্ধের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

বেলায়েত হোসেন আশা করেন দলীয় নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় সর্বসাধারনের ভালোবাসায় তিনি বিপুল ভোটে চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

চাটখিলে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলায়েত এর মতবিনিময়

নোয়াখালীর চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে চাটখিল কামিল মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি সাংবাদিক মেহেদী হাছান রুবেল ভুঁইয়া’র পৃষ্ঠপোষকতায় ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

তিনি দেশবাসীকে মাতৃভাষায় বুঝে বুঝে কুরআন পাঠের আহ্বান জানান।

সারাদেশে অর্থসহ কুরআন পাঠ দিবস পালিত

Comments are closed.