বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা অঝোরে কাঁদলেন সবাই
বাংলাদেশে আতঙ্কে আছেন পরিবারের সদস্যরা
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা আজ শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে গিয়ে ক্রিকেটাররা সাক্ষী হলেন সন্ত্রাসী হামলার।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের সে হামলায় বাংলাদেশ দলের সবাই বেঁচে যাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম।
অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভাল মাঠের কাছেই যে মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন তারা, সেই মসজিদেই সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।
আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে জুম্মার নামাজের সময় আল নূর নামের ক্রাইস্টচার্চের ওই মসজিদে বন্দুকধারী এলাপাতাড়ি হামলা চালায়।
এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়ে ২৭।বাতিল করা হয়েছে শেষ টেস্ট ম্যাচটি।
বাংলাদেশ দলের বাস তখন মসজিদের সামনে।
ক্রিকেটাররা বাস থেকে নেমে মসজিদে ঢুকবেন, এমন সময় রক্তাক্ত শরীরের একজন মহিলা ভেতর থেকে টলোমলো পায়ে বেরিয়ে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান।
ক্রিকেটাররা তখনো বুঝতে পারেননি ঘটনা কী। তাঁরা হয়তো মসজিদে ঢুকেই যেতেন, যদি না বাসের পাশের একটা গাড়ি থেকে এক ভদ্রমহিলা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বলতেন, ‘ভেতরে গোলাগুলি হয়েছে। আমার গাড়িতেও গুলি লেগেছে। তোমরা ভেতরে ঢোকো না।’
এরপর বাংলাদেশ টিম নিজেদের গাড়িতে আশ্রয় নেয়।পুলিশ ততক্ষণে রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
বাসে বসেই তারা দেখতে পান, মসজিদের সামনে অনেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। অনেকে রক্তাক্ত শরীর নিয়ে বেরিয়ে আসছেন মসজিদ থেকে।
যা দেখে আতঙ্কে অস্থির হয়ে পড়েন ক্রিকেটাররা। কারণ বাসে কোনো নিরাপত্তাকর্মী দূরে থাক, স্থানীয় লিয়াজোঁ অফিসারও ছিলেন না।
রাস্তায় তখন অনেক পুলিশ। সাইরেন বাজিয়ে ছুটে চলেছে পুলিশের গাড়ি। অনেকক্ষণ বাসে বসে থাকার পর ক্রিকেটাররা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস থেকে নেমে মাঠের দিকে হাঁটতে শুরু করেন।
সবার চোখেমুখে তখন আতঙ্ক।এক পর্যায়ে বাংলাদেশের সাবেক ক্যাপ্টেন মুশফিকুর রহিম হাঁটতে হাঁটতেই অঝোরে কাঁদতে শুরু করেন।
Comments are closed.