ফেনীর দাগনভূঞা ইকবাল মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
ফেনীর দাগনভূঞা ইকবাল মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের সাবেক সভাপতি রাশেদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ইয়াবা ব্যবসা, মাদক সেবন, এনায়েতভূঞা ঈদগাহের পাঁচ লাখ টাকার গাছ কেটে বিক্রি, মানুষের টাকা আত্মসাৎ, সাংবাদিকসহ জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠেছে।
তার সন্ত্রাসী আচরণের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
গত রোববার (৫ মে) স্থানীয় এক গরু ব্যবসায়ীর নিকট পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে মারধরের হুমকি দেন ও গালাগাল করেন। পরবর্তীতে তিনি দাগনভূঞা থানায় অভিযোগ করলে গত রোববার (৮ মে) সন্ত্রাসী রাশেদকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে প্রেরণ করেন।
আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। দীর্ঘ ১২ দিন পর জামিনে বেরিয়ে প্রকাশ্য লাইভে এসে প্রথমে সিনিয়র সাংবাদিক আজাদ মালদারকে নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা বক্তব্য প্রদান, অশোভন আচরণ, জীবননাশের হুমকিসহ কটূক্তি ভাষা ব্যবহার করে। যারা যারা এ নিউজ করেছেন তাদের সঙ্গেও এ রকম আচরণ করেন।
সাংবাদিকদের নিয়ে তিনি বলেন, আমি ভিপি রাশেদ। আপনারা চিনেন না। উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়া কাউকে জমা-খরচ দিয়ে চলি না। প্রয়োজনে আবার জেলে যাব, রাজনীতি করলে মানুষ জেলে যায়, তাতে কিছু যায় আসে না। বড় বড় নেতারাও জেলে যায়।
জামিনে এসে ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে লাইভে হুমকি ও অশোভন আচরণ ও সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়া দাগনভূঞা ও ফেনীর সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সরকার দলের পদ হারানো একজন কর্মীর প্রকাশ্য সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিদের হুমকি দেওয়া নিয়ে ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল ফোরকান বুলবুল, মেম্বার আলি মূর্তজাসহ কয়েকজন ব্যক্তিকে গালমন্দ ও হুমকি প্রদান রাজনীতিতে খারাপ হচ্ছে। তার এমন বক্তব্য তীব্র নিন্দা জানান দাগনভূঞা প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকরা।
এ বিষয়ে আরটিভি নিউজের ও যায়যায়দিন ফেনী প্রতিনিধি এবং ফেনী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আজাদ মালদার জানান, এনায়েতভূঞা ঈদগাহের মতো পবিত্র জায়গায় তার আধিপত্য বিস্তার করে ঈদগাহের সম্পদ লুণ্ঠন, জনগণকে জিম্মি করে অর্থ আদায় করলেও কেউ কোনো কথা বলেননি।
কিন্তু দুধমুখার এক ব্যবসায়ীর নিকট চাঁদা আদায় মামলা হলে সন্ত্রাসী রাশেদ গ্রেপ্তার হয় এবং অসংখ্য স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় নিউজ হয়। গত শুক্রবার জামিনে বের হয়ে রোববার লাইভে এসে মিথ্যা বানোয়াট, অত্যন্ত খারাপ আচরণ, গালাগাল ও সব সাংবাদিককে হুমকি দেয়। আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে। এ ছাড়া চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে ফেনী ২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী ও দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সাংবাদিকরা।
৫নং ইযাকুবপুর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য আলী মূর্তজা বলেন, মাদকসেবী ও বিক্রেতা, কৃষি জমির মাটি বিক্রির মূলহোতা ও চাঁদাবাজ রাশেদের অপকর্মের বিরোধিতা করলে সে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হয়। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে।
Comments are closed.