নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটর বন্ধ: পানি আটকে হাজার একর জমির ধান বিনষ্টের পথে!
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ক্লোজার রেগুলেটর বন্ধ করে রাখায় নদীর পানি বেড়ে চর পার্বতী, চরহাজারী, মুছাপুর ও চর দরবেশ ইউনিয়নের হাজার একর জমির ধান বিনষ্টের পথে।
গত কয়েকদিন ধরে রেগুলেটর গেট বন্ধ রাখা হয়েছে।যার ফলে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল পরবর্তী কয়েকদিনের বৃষ্টির পানি নদী ভর্তি হয়ে আশপাশের কৃষি জমি ডুবে গেছে।
স্থানীয় কৃষকদের মতে, এবার সরকারী বীজ, সার ও কৃষি সেবা পাওয়ায় ধান ভালো হয়েছে। আমরা খুশী হয়েছি এবারের ধান দেখে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আসার খবরে আতংকে ছিলাম, কি যেনো হয়! স্রষ্টার কৃপায়, ঘূর্ণিঝড় আমাদের অত ক্ষতি করেনি। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী টানা বৃষ্টির ফলে নদীর পানি বেড়ে তা কৃষি জমিকেও ডুবিয়ে ফেলছে। গত কয়েক বছর অতিবৃষ্টির সময় এরকম সমস্যা সাময়িক সৃষ্টি হয় তা রেগুলেটর খুলে দিলে আবার নিরশন হয়ে যায়। কিন্তু এবার তা করা হয়নি, যার ফলে হাজার একর জমির ফসল, প্রজেক্টের মাছ ও সবজি নষ্ট হওয়ার পথে।
মুছাপুর ইউনিয়নের কৃষক আবদুস ছাত্তার বলেন, এতো কষ্ট করে পরিশ্রম, টাকা খরচ করে ফসল ফলিয়ে যদি তা ঘরে উঠাতে না পারি তার চেয়ে কষ্টের আর কি হতে পারে? ইতিমধ্যে, গত কয়েকদিনে ডুবে থাকা ধানের ৫০ ভাগ ধান নষ্ট হয়ে গেছে এখনি গেট খুলে না দিলে বাকি ধানও নষ্ট হয়ে যাবে! আমরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নের ৪০ জন কৃষক রেগুলেটর গেটে আমাদের ইউপি সদস্যসহ গিয়েছি কিন্তু কাউকে পাইনি।
এ বিষয়ে চরপার্বতী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন কামরুল, চরহাজারী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল হুদা ও মুছাপুর ইউপি সদস্য আবদুল কাইয়ুম বাহার, চরদরবেশ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ভুট্টো’র কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। ওনারা সমস্যাটি নিরসনে ব্যাবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছে!
অন্যদিকে এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ’র কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলেছি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
Comments are closed.