নোয়াখালীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে নারীসহ ৪ জনের মৃত্যু
নোয়াখালীর সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে এক নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে সদর উপজেলায় তিনজন ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় একজন রয়েছেন। দুজন জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ও দুজন বাড়িতে মারা গেছেন। শনিবার রাত ৯টা থেকে আড়াইটার মধ্যে তারা মারা যান।
শনিবার দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রোগীর স্বজনরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিদ্যুৎ কুমার দাস বলেন, স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সদর-কবিরহাট উপজেলার সীমান্তবর্তী সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের নেয়ামতপুর গ্রামের এক ব্যবসায়ীর (৫৩) নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর আগে রাত ৯টার দিকে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। স্বজনদের দেওয়া তথ্য মতে ওই ব্যবসায়ী গত ৮-১০ দিন ধরে জ্বর, শ্বাস কষ্ট ও হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। করোনা উপসর্গ থাকায় তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এদিকে শনিবার রাত আড়াইটা দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান জেলা শহরের গোপাই এলাকার বাসিন্দা এক নারী (৫২) ও নেয়াজপুর ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের বাসিন্দা পুরুষ (৬৭)। তারা দুইজন অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালের অন্য ওয়ার্ডে ভর্তি থাকলেও মধ্য রাতে দুজনের শ্বাস কষ্ট দেখা দিলে তাদের হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওই ওয়ার্ডেই রাত ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। কিন্তু পরিবারের লোকজন নমুনা দিতে রাজি না হওয়ায় তাদের কারোই নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সৈয়দ মহি উদ্দিন আব্দুল আজিম।
অপরদিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার গোডাউন রোডের বাসিন্দা (৪৭) গত ৬-৭ দিন ধরে জ্বর ও হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। শুক্রবার রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজন প্রথমে জেলা শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ভর্তি না করায় পরবর্তীতে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। বেগমগঞ্জের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Comments are closed.