নোয়াখালীতে একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চাই

উন্নত গবেষণার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় জরুরি

155

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার একশত বছরের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কৃষিশিক্ষা ও কৃষির ব্যবহার অপরিহার্য। বাংলাদেশের প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী জেলা এই নোয়াখালী। এ জেলার গর্ব, সুনাম সারা দেশে ছড়িয়ে আছে। ভাষা-আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সমগ্র দেশের উন্নয়নে নোয়াখালীর সূর্যসন্তানদের অবদান অনস্বীকার্য। কৃষিই সমৃদ্ধি, কৃষিই মুক্তি। কৃষি নির্ভর দেশ বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং এই ধারা অব্যাহত রাখতে কৃষিতে গবেষণা বাড়াতে হবে।

ভৌগোলিক দিক থেকে নোয়াখালীর অবস্থান বাংলাদেশের দক্ষিণে। এই অবস্থানের কারণেই এই অঞ্চলে প্রতিনিয়তই জমির (চরের) পরিমাণ বাড়ছে যেটা আর কোনো অঞ্চলে বাড়ছে না। এছাড়া এই অঞ্চলে অনাবাদী জমির পরিমাণও অনেক বেশি। আর ঐতিহ্যগত ভাবেই এই অঞ্চলের রয়েছে শস্য, মৎস্য এবং পশু (গরু, মহিষ, হাঁস ইত্যাদি) সম্পদের অপার সম্ভাবনা। এজন্যই আমাদের সম্পদকে কাজে লাগিয়ে আমরা সহজেই হতে পারি স্বয়ংসম্পূর্ণ। অথচ আমরা নির্ভর করি অন্য অঞ্চল থেকে আনা খাদ্যশস্যের উপর।

এই অঞ্চলে রয়েছে শত শত মাছের খামার, চিংড়ি–কাঁকড়ার খামার। রয়েছে হাঁসের খামার, গরু-মহিষের খামার। ভাবতে অবাক লাগে–একই জায়গায় একসাথে এতগুলো রিসোর্সের মেলবন্ধন হয়েছে এই নোয়াখালী অঞ্চলেই। এজন্যই আমাদের এই সম্পদগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমরা সহজেই হতে পারি স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের যে রিসোর্সগুলো রয়েছে সেগুলো নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা ও এর মাধ্যমে উন্নত জাত উদ্ভাবন এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল নিয়ে সরাসরি কাজ করার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন।

এই এলাকায় একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হলে নোয়াখালীর উচ্চশিক্ষার হারও বাড়বে। আর নোয়াখালীর অনেক সন্তান যারা দেশের অন্যান্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে যাচ্ছে তাদেরও কষ্ট লাঘব হবে।

জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষির উপর জোর দেয়ার পাশাপাশি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর উপরও দিচ্ছেন বিশেষ নজর। দেশে অনেকগুলো পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আরও অনেকগুলো রয়েছে অনুমোদনের অপেক্ষায়। এই সময়ে নোয়াখালীর মত জায়গায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা অনেক বেশি যুক্তিসংগত বলে মনে করছি।

অনেকেই জানেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি ডিপার্টমেন্ট এবং মৎস্য ও সমুদ্র বিজ্ঞান ডিপার্টমেন্ট আছে। কিন্তু একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ত্রিশ থেকে চল্লিশটি ডিপার্টমেন্ট থাকে। অতএব শুধুমাত্র এই দুটি ডিপার্টমেন্ট আমাদের সম্পূর্ণ কৃষির উন্নয়নের জন্য কখনোই যথেষ্ট নয়। আর তাই উন্নত গবেষণার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় খুবই জরুরি।

বর্তমান সময়ের জন্য দ্রুত সমস্যা সমাধানের নিমিত্তে সংসদ আইনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু অথবা শেখ হাসিনার নামে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি স্বতন্ত্র কৃষি ও চর ইন্সটিটিউট (বঙ্গবন্ধু অথবা শেখ হাসিনা কৃষি ও চর ইন্সটিটিউট) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কৃষি, মৎস্য ও পশু সম্পদ বিষয়ে উন্নত গবেষণা ও উচ্চতর ডিগ্রীর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, কৃষি বিভাগ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও পড়ুন

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে বাতাসে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে লামচর গ্রামের সর্দার বাড়ি সংলগ্ন ডোবায় অর্ধগলিত একটি মরদেহ দেখতে পায় তারা।

চাটখিলে বৃদ্ধের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

বেলায়েত হোসেন আশা করেন দলীয় নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় সর্বসাধারনের ভালোবাসায় তিনি বিপুল ভোটে চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

চাটখিলে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলায়েত এর মতবিনিময়

নোয়াখালীর চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে চাটখিল কামিল মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি সাংবাদিক মেহেদী হাছান রুবেল ভুঁইয়া’র পৃষ্ঠপোষকতায় ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

তিনি দেশবাসীকে মাতৃভাষায় বুঝে বুঝে কুরআন পাঠের আহ্বান জানান।

সারাদেশে অর্থসহ কুরআন পাঠ দিবস পালিত

Comments are closed.