চায়না বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক উৎসবে বাংলাদেশ
চীনের চীয়াংশী প্রদেশের নানছাং শহরে অবস্থিত চীয়াংশী ইউনির্ভাসিটি অফ ফাইন্যান্স এন্ড ইকোনোমিক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে পঞ্চম আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৩ শে নভেম্বর বিকালে বাছিয়াও গার্ডেনের উত্তর অঞ্চলের রাইজিং স্কোয়ারে এই আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপ-অধ্যক্ষ ওয়াং শিয়াওপিং এবং ওউইয়াং কাং উপস্থিত ছিলেন। চীনা, বিদেশী শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী ছাড়াও উপস্থিত ছিল অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী বৃন্দ।
ইন্টারন্যাশনাল কালচারাল প্রোগ্রামে বাংলাদেশি একটি স্টল ছিল। স্টলে বাংলাদেশি কালচারাল পোশাক ও খাবার প্রদর্শিত হয়। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে নাচ, গান এবং নৃত্য প্রদর্শিত হয়। বাংলাদের নাচ ও গান উপস্থিতিদের মন জয় করে এবং প্রশংসাপ্রাপ্ত হয়।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থী কৃষ্ণ ভৌমিকের বাঁশির সুর সবাইকে মুগ্ধ করে এবং মাহমুদুল হাসান অনিক মার্শাল আর্ট পারফর্মেন্স করে। বাংলাদেশকে উপস্থাপন করার জন্য সার্বিক ভাবে সহায়তা করে আরিফ পারভেজ, মোহাম্মাদ ছাইয়েদুল ইসলাম, নিপুন বিশ্বাস, আকবর হোসেন, মোঃ সাইফুল্লাহ রাফি, মোহাম্মদ আবিদ হাসান, ইখতিয়ার উদ্দিন ফাহিন, রাফী।
উপ-অধ্যক্ষ ওয়াং শিয়াওপিং চীনা ও ইংরেজী উভয় ভাষায় উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেছিলেন। তিনি চীনা ও বিদেশী শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানান যারা উৎসাহী ভাবে আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁর বক্তৃতায় পাঁচটি বিশেষণ – সুন্দর, বিস্ময়কর, রঙিন, ফলদায়ক, অর্থপূর্ণ দিয়ে শেষ হয়।
বিভিন্ন দেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে নিজ দেশের নৃতাত্ত্বিক কারুশিল্প, গেম ক্রিয়াকলাপ এবং বিশেষ রান্নার মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি এবং স্থানীয় রীতিনীতি প্রদর্শন করে। সাংস্কৃতিক উৎসবে স্কোয়ারের উভয় পাশে ২৪ টি বিদেশী স্টল সহ একটি চীন সংস্কৃতি প্রদর্শনী স্টল ছিল। এক হাজারেরও বেশি চীনা ও বিদেশী শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করে পঞ্চম আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসবে।
উৎসবে বাংলাদেশ, রাশিয়া, উজবেকিস্তান, কাজাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, গিনি, আফগানিস্তান, স্পেন, মরোক্কো, পাকিস্তান, লাউজ, ইন্দোনেশিয়াসহ ২০টি দেশ অংশগ্রহণ করে।
Comments are closed.