চাটখিলে সাংবাদিকদের সাথে জনতা ব্যাংক ম্যনেজারের অসৌজন্যমূলক আচরণ
‘সরকারি লোক ছাড়া আমি কোন তথ্য দেই না’
‘আপনারা কি সরকারি লোক? আমরা সরকারি লোকজন ছাড়া অন্য কাউকে কোন তথ্য দিতে বাধ্য নই। আমি সাংবাদিক-টাংবাদিক বুঝিনা’-এমন দম্ভোক্তি নিয়েই সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন চাটখিল বাজার শাখা রাষ্ট্রয়ত্ব জনতা ব্যাংকের ম্যনেজার তারেক মো. মুসা। এসময় তাকে বেশ মারমুখী থাকতেও দেখা যায়।
জানা যায়, চাটখিল বাজারে ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী নুর হোসেন খোকন তার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার স্বপনকে ৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা জমা দিতে জনতা ব্যাংকের চাটখিল বাজার শাখায় পাঠান। সোমবার বিকেল ৪টার সময় স্বপন ব্যাংকের ক্যাশিয়ার আজিজুল হাকিমের সামনে ওই টাকা রাখেন। কিছুক্ষণ পর আজিজুল হাকিম স্বপনকে বলেন, এখানে টাকা আছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার। এ নিয়ে স্বপন ও ক্যাশিয়ার আজিজুল হাকিমের বাক-বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে নুর হোসেন খোকন ব্যাংকে গিয়ে চ্যালেঞ্চ করে বলেন, টাকার পরিমাণ ৫ লাখ ৬৫ হাজার ছিল। এসময় ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার তারেক মো. মুসাও ক্যশিয়ারের পক্ষ নিয়ে বিষয়টা চাপা দেয়ার চেষ্টা চালান। এক পর্যায়ে খোকনের দাবির প্রেক্ষিতে ম্যানেজার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে বাধ্য হন এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় ক্যাশিয়ার আজিজুল হাকিম কৌশলে ১ লাখ টাকার একটি ব্যান্ডেল সরিয়ে ফেলেন।
এই বিষয়টি নিয়ে চাটখিল বাজার ও তার আশ-পাশের এলাকায় ব্যপক তোলপাড় সৃষ্টি হলে মূল ঘটনাটা জানতে স্থানীয় সাংবাদিকরা দুপুরে জনতা ব্যাংকে গেলে প্রথম থেকেই তিনি সাংবাদিকদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলেন।
এ নিয়ে চাটখিল সাংবাদিক ফোরামে এক জরুরী বৈঠকে সভাপতি মিজানুর রহমান বাবর ও সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব ম্যানেজারের এই অসৌজন্যমূলক আচরণের নিন্দা জানান।
বিকেলে তিনি জনৈক লোকের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সাথে আপোষ বৈঠকের চেষ্টা চালান কিন্তু ক্ষুদ্ধ সাংবাদিকরা তার সাথে বসতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
Comments are closed.