চাটখিলে অবৈধ ঔষধ ব্যবসা জমজমাট

280

চাটখিল পৌর শহর এবং উপজেলার প্রায় প্রতিটি হাট বাজারে শত শত অবৈধ ফার্মেসীর মাধ্যমে ঔষধ ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। এ ব্যপারে প্রশাসন কোন ব্যবস্হা না নেওয়ায় অবৈধ ব্যবসায়ীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

চাটখিল উপজেলা কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতি সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুত্রে জানা যায়, সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ঔষধ ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ফার্মেসীর ড্রাগ লাইসেন্স থাকতে হবে এবং লাইসেন্সের পাশাপাশি ঐ দোকানে একজন ফার্মাসিষ্ট ও থাকতে হবে এবং প্রতি বছর লাইসেন্স টি নোয়াখালী ড্রাগ সুপারের কার্যালয় থেকে ঔষধ ব্যবসার সকল শর্ত মেনে নবায়ন করতে হবে।

কিন্তু সরেজমিনে খোজ নিয়ে দেখা গেছে, চাটখিল পৌর বাজারে প্রায় ৬২ টি ফার্মেসীর মধ্যে খান ফার্মেসী, আইডিয়েল ফার্মেসী, ইসলাম মেডিকেল হল, ইউনাইটেড ফার্মেসী,এম এম মেডিকেল, রিপন ফার্মেসী সহ আরো দুই তিনটি ফার্মেসী প্রায় শতভাগ নিয়ম মেনে ব্যবসা করছে। এ ছাড়া প্রায় বিশটি ফার্মেসীর লাইসেন্স থাকলে ও ফার্মাসিষ্ট নেই। এর বাহিরে বাকি ফার্মেসী গুলো সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় ব্যবসা করে যাচ্ছে , এতে প্রতি নিয়ত প্রতারিত হচ্ছে রোগীরা। একই অবস্হা উপজেলার অন্যান্য হাট বাজার গুলোতে প্রতিটি বাজারে চার পাচটি ফার্মেসীর লাইসেন্স থাকলে ও বাকি গুলো অবৈধ ভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছে এতে রোগীরা মৃত্যু ঝুকির মধ্যে পড়ছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সঠিক তদারকি না থাকায় প্রতিদিনই ব্যঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে এসব অবৈধ ফার্মেসী।

চাটখিল উপজেলা কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে মেয়াদ উত্তীর্ন ঔষধের বিষয়ে কথা বললে তারা জানান, বাংলাদেশী প্রায় প্রতিটি ঔষধ কোম্পানী বছরে একবার মেয়াদ উত্তীর্ন ঔষধ পরিবর্তন করে নতুন ঔষধ দেয় তাই মেয়াদ উত্তীর্ন ঔষধ বিক্রির প্রশ্নই আাসে না। তবে কিছু প্রতিষ্ঠিত কোম্পানী লাইসেন্স বিহীন দোকানের সাথে ব্যবসা না করায় তারা মেয়াদ উত্তির্ন ঔষধ ফেরৎ দিতে না পারায় কিছু আশংন্কা থেকে যায়।

আরও পড়ুন

Comments are closed.