কোম্পানীগঞ্জের সেই খোকনই আজকের ওবায়দুল কাদের

43

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের ছোট্ট খোকনই আজকের ওবায়দুল কাদের। যিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। দেশের দক্ষিনাঞ্চলের জেলা নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা কোম্পানীগঞ্জের বড়ো রাজাপুর গ্রামে ০১ জানুয়ারী ১৯৫২ সালে জন্মগ্রহণ করা ওবায়দুল কাদেরের ডাক নাম খোকন। তাঁর পিতা প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেন কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়ন করেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন সহপাঠী ছিলেন। সিভিল সার্ভিস পেশা ছেড়ে তার পিতা উন্নত চরিত্রের শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে নিজেকে জড়িত করেন। তাঁর মা ফজিলাতুন্নেছা একজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান।

ছাত্র জীবনে মেধাবী ছাত্র ওবায়দুল কাদের বসুরহাট সরকারি এএইচসি উচ্চ বিদ্যালয় (বসুরহাট হাইস্কুল) থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন।তিনি নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে মেধা তালিকায় এইচএসসি পাশ করেন। পরে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্সসহ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তার স্ত্রী ইছরাতুন্নেছা কাদের একজন বিশিষ্ট আইনজীবী।

একজন স্বপ্নিক ও আদর্শবান হিসাবে ওবায়দুল কাদের একজন দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ রাজনৈতিক জীবনের অধিকারি। তিনি উদার, বিচক্ষণ এবং নিবেদিত রাজনৈতিক নেতা হিসেবে সর্বত্র খ্যাতি অর্জন করেছেন এবং তিনি ছাত্র জীবন থেকেই সবসময় পরিবর্তনশীল রাজনীতিতে বিশ্বাসী একজন মানুষ।

তিনি কলেজ জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণআন্দোলন ও ছাত্রদের ১১ দফা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং কোম্পানীগঞ্জ থানা মুজিব বাহিনীর(বিএলএফ) অধিনায়ক ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার কারা বরণ করেন। ১৯৭৫ এর পর এক নাগাড়ে দীর্ঘ আড়াই বছর কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন এবং পরপর দুইবার ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা রৌপ্য জয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব ছিলেন। বাংলা বছর ১৪০০ সাল উদযাপন গঠিত নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বিগত ১২ জুন ’৯৬-এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নোয়াখালী-৫ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২৩ জুন ’৯৬ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং একই দিনে যুব ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। তিনি ২০০১ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সৎ ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেন।

২০০২ সালের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন থেকে ২০০৯-এর সম্মেলন পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। ১/১১ পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে তিনি ২০০৭ সালের ৯ মার্চ জরুরি বিধিতে গ্রেফতার হয়ে ১৭ মাস ২৬ দিন কারাবরণ করেন। ২০০৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্ত হন। কারাগারে থাকাকালে কারাজীবনের বর্ণনা দিয়ে “অনুস্মৃতি : যে কথা বলা হয়নি” লেখেন।

তিনি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর পুনরায় দ্বিতীয়বারের মত নোয়াখালী-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন।

২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর বঙ্গভবনে মহাজোট সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি কিছুদিনের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পালন করেন। এছাড়া ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি নোয়াখালী-৫ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসন থেকে বিপুল ভোটে চতুর্থ বারের মতো এবং টানা হ্যাট্রিক জয়ে এমপি নির্বাচিত হয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ওবায়দুল কাদের একজন সাংবাদিক ও লেখক হিসেবে বেশ পরিচিত। তিনি দীর্ঘ সময় দৈনিক বাংলার বাণীর সহকারী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া তাঁর লেখা নয়টি বই বাজারে বেশ আলোচিত হয়েছে। যেমন, Bangladesh : A revolution Betrayed (আমেরিকায় পাবলিশার্স, কলকাতা দ্বারা ১৯৭৬ সালে প্রকাশিত); বাংলাদেশের হৃদয় হতে; পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধু; এই বিজয়ের মুকুট কোথায়; তিন সমুদ্রের দেশে; মেঘে মেঘে অনেক বেলা; রচনা সমগ্র; কারাগারে লেখা অনুস্মৃতি : যে কথা বলা হয়নি ইত্যাদি।

ওবায়দুল কাদের সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন।

আরও পড়ুন

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে বাতাসে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে লামচর গ্রামের সর্দার বাড়ি সংলগ্ন ডোবায় অর্ধগলিত একটি মরদেহ দেখতে পায় তারা।

চাটখিলে বৃদ্ধের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

বেলায়েত হোসেন আশা করেন দলীয় নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় সর্বসাধারনের ভালোবাসায় তিনি বিপুল ভোটে চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

চাটখিলে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলায়েত এর মতবিনিময়

নোয়াখালীর চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে চাটখিল কামিল মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি সাংবাদিক মেহেদী হাছান রুবেল ভুঁইয়া’র পৃষ্ঠপোষকতায় ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

তিনি দেশবাসীকে মাতৃভাষায় বুঝে বুঝে কুরআন পাঠের আহ্বান জানান।

সারাদেশে অর্থসহ কুরআন পাঠ দিবস পালিত

Comments are closed.