এখনও অস্থির পেঁয়াজ বাজার: দাম কবে স্বাভাবিক হবে?
নানা পদক্ষেপ নেয়ার পরও পেঁয়াজের দাম কেন কমছে না, তা এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। কয়েকদিন আগে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে। এরপর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এ নিত্যপণ্যের দাম না কমায় ভোক্তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কয়েকদিন কিছুটা কমে আবারও পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এতে এটাই স্পষ্ট, তদারকি জোরদার করা না হলে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ হবে না। ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ রাখলেও বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্যটির আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
তারপরও বাজারে কেন এর প্রভাব পড়ছে না তা খতিয়ে দেখা জরুরি হয়ে পড়েছে। বাজারে এখনও দেশি নতুন পেঁয়াজ না এলেও এসেছে পেঁয়াজের পাতা। কিন্তু এটিও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
সম্প্রতি বিমানে পেঁয়াজ আনার উদ্যোগ নেয়ায় মানুষ আশ্বস্ত হয়েছিল, এ নিত্যপণ্যের দাম দ্রুত কমে আসবে। কিন্তু দাম সামান্য কমার পর পেঁয়াজের দাম আবারও বেড়েছে, তাতে মনে হচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি এখনও বন্ধ হয়নি। দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজের তথ্য বিশ্লেষণ করলে বাজারে পণ্যটির সংকট তীব্র হওয়ার কথা নয়।
কিন্তু বাজারে পেঁয়াজ সংকটের অবসান হচ্ছে না। এ অবস্থায় বাজার তদারকি জোরদার করে দ্রুত এ সংকটের সমাধান করা দরকার। এ সংকট দীর্ঘ সময় বিরাজ করলে অন্য পণ্যের ওপরও এর প্রভাব পড়তে পারে। কারণ আস্থার সংকট তীব্র হলে বিনিয়োগ থেকে দূরে থাকেন অনেক ব্যবসায়ী।
বাজারে বিভিন্ন দেশের পেঁয়াজ কিছুটা কম দামে পাওয়া গেলেও সেসবের মান ভালো নয়। লক্ষ করা যাচ্ছে, ভোক্তারা বেশি দামে দেশি পেঁয়াজ ক্রয় করতেই আগ্রহী। এর মূল কারণ দেশি পেঁয়াজের গুণগত মান। বিদ্যমান চাহিদার বিপরীতে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হলে মৌসুমে দেশি পেঁয়াজচাষীরা বিপদে পড়তে পারেন।
এ হতাশার কারণে আগামীতে পেঁয়াজ চাষে অনেকেরই আগ্রহ কমে যেতে পারে। ফলে আগামী মৌসুমে পণ্যটির সংকট আবারও তীব্র হতে পারে। কাজেই এ সমস্যার সমাধানে মৌসুমে দেশি পেঁয়াজচাষীরা যাতে ন্যায্য দাম পান, তা নিশ্চিত করতে পেঁয়াজের মৌসুমে পণ্যটির আমদানি বন্ধ রাখা প্রয়োজন। পেঁয়াজ নিয়ে সব ধরনের কারসাজি বন্ধ করতে হবে।
Comments are closed.