অপহরণের ১৮ ঘন্টার মধ্যে অপহৃত শিশু উদ্ধার
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় থেকে অপহৃত ৩ মাসের শিশু জুনায়েদ কে সোনাগাজী থেকে ১৮ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার করেন। এঘটনায় এক মহিলাকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের উত্তর চানপুর গ্রামের প্রবাসী মো. শাহজানের সঙ্গে ছাগলনাইয়া উপজেলার কাশিপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের প্রবাসে বন্ধুত্বের সূত্র ধরে দেশেও দুই প্রবাসীর স্ত্রীদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে ওঠে। ১৮ সেপ্টম্বর শুক্রবার শাহাজানের স্ত্রী রোকসানা আক্তার বিথি ছাগলনাইয়া কলেজ রোড়ে নিজাম উদ্দিনের ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন। রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় নিজাম উদ্দিনের তিন মাস বয়সী ছেলে জোনাইদ হোসেন ও ৫ বছর বয়সী বড় মেয়ে নুসরাত জাহানকে ছবি তোলার কথা বলে বাসা থেকে বের করে নিয়ে যায়।
পরে শিশুটির মা জাহেদা আক্তার ছাগলনাইয়া থানায় অপহরণ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করলে বিষয়টি জেলা পুলিশ প্রশাসনের উর্ধতন মহলের নজরে আসে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মঈনুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও ছাগলনাইয়া থানা পুলিশের সমন্বয়ে একটি টিম শিশুটি উদ্ধারের অভিযানে নামে।
তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ও বিভিন্ন সোর্সের সহায়তায় ১২ ঘন্টার অভিযানের পর সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরখোয়াজ ইউনিয়নের কন্ট্রাক্টর বাড়ীর একটি ঘর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে অভিযুক্ত রোকসানা আক্তারকে আটক করে পুলিশ ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রোকসানা আক্তার জানায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে অপহরণ করেছে ।
তবে এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তির সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানান পুলিশ। রোকসানার সহযোগীদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। জেলা পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মইনুল ইসলাম।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এ এন এম নুরুজ্জামান জানান, এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তির সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।অপহরণের সাথে জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে শিশু জুনাইদ কে ফিরে পেয়ে স্বস্তি ফিরে এসেছে শিশুর মা জাহেদা আক্তার সহ স্বজনের মাঝে। পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে অপহরণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন জাহেদা আক্তার।
Comments are closed.