অপহরণকারী চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার ও শিশু উদ্ধার

25

চট্টগ্রামে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন রৌফাবাদস্থ রাজা মিয়ার কলোনীতে গার্মেন্টস কর্মী মুক্তা বেগম (৩০), স্বামী-আব্দুল খালেক প্রায় ৩/৪ বছর ধরে বসবাস করতো। তার স্বামী আব্দুল খালেক একজন মাংস বিক্রেতা। বাদীর কলোনীর আশে পাশের এলাকায় পাহাড়ে হত দরিদ্রদের বসবাস।

মুক্ত বেগম প্রতিদিনের ন্যায় ১৩/০৪/২০২২ সকাল ০৭.০০ ঘটিকার পর বড় মেয়ে নাজমা আক্তার (১২) এর কাছে ছোট ছেলে আরজু (১৮ মাস) রেখে গার্মেন্টসে যায়। সে সময় তার স্বামীও মাংস বিক্রির জন্য বাসা থেকে বের হয়।বাদীর বড় মেয়ে তার ছোট বাচ্চাকে রেখে কলোনীর অন্য দিকে গেলে কুলসুম প্রঃ কুসুম প্রঃ সুমি (২৭) নামে জনৈক মহিলা বাদীর ছোট ছেলে আরজুকে কোলে নিয়ে চুরি করে কৌশলে পালিয়ে যায়।

 

কুলসুম প্রঃ কুসুম প্রঃ সুমি রৌফাবাদ এলাকায় একেক সময় একেক কলোনীতে দুই/তিন মাস ভাড়া থাকে। ভাসমান হিসাবে বসবাস করায় তার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা কোন ব্যক্তি জানতো না। গার্মেন্টস থেকে কাজ শেষে বাদী বাসায় এসে অনেক খোঁজাখুজির করে বাচ্চার কোন তথ্য না পাওয়ায় থানা পুলিশকে সংবাদ করে।

থানায় সংবাদ প্রাপ্তীর পর ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। ঘটনার সহিত জড়িত কুলসুম প্রঃ কুসুম প্রঃ সুমি পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা করা হয়। কুলসুম প্রঃ কুসুম প্রঃ সুমি রৌফাবাদ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করিলেও তার পূর্ণাঙ্গ ও স্থায়ী ঠিকানা কেউই জানতোনা। উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাৎক্ষনিক বিশেষ টিম তৈরি করা হয়।

ডিসি (উত্তর) সিএমপির তত্বাবধানে এডিসি (উত্তর) ও এসি (বায়েজিদ বোস্তামী জোন) সিএমপি চট্টগ্রামদ্বয়ের দিক-নির্দেশনায় বিশেষ টিমের সদস্যরা ৪৮ ঘন্টা নিরলস পরিশ্রম এবং একাধিক সিসিটিভি পর্যালোচনা করে আমিন কলোনী এলাকা হইতে তার পরিচয় শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

উক্ত সময়ে তদন্তকালে জানা যায় আসামী কুলসুম বেগমের বাড়ি লক্ষীপুর জেলা হলেও তার কথিত স্বামী সোহেল এর বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায়।

সোহেল বায়েজিদ এলাকায় ইতিপূর্বে থাকলেও বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজে জড়িত থাকার জন্য নোয়াপাড়া এলাকায় বসবাস করতো।এলাকাটি ভারতের বর্ডারের পাশে পাহাড়ী এলাকা। গত ১২/০৪/২০২২ তারিখে সোহেল মামলার হাজির দেওয়ার জন্য চট্টগ্রামে আসে। আসামী কুলসুমের সহিত ইতিপূর্বে কথিত মতে বিবাহ হয়েছে বলে জানালেও তাহারা কোথায় বিবাহ করেছে তা সম্পর্কে কোন তথ্য দিতে পারে নাই।

ভিকটিম মোঃ আরজু (১৮ মাস)ও তার মা ,মুক্ত বেগম

 

আসামী কুলসুম বাচ্চাটি চুরি করার পর রৌফাবাদ থেকে কৌশলে আমিন কলোনী এলাকায় আত্মগোপন করে তাহার কথিত স্বামী সোহেল ও তাহার মা খোরশেদা বেগম (৫৫) সহ নিজ বাড়ী মৌলভীবাজার না গিয়ে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানা এলাকায় খবরা নামক গ্রামে গিয়ে আত্মগোপন করে।

উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া ১৫/০৪/২০২২ তারিখ দুপুর ২.৩০ টায় ভিকটিম মোঃ আরজু (১৮ মাস) উদ্ধার পূর্বক আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।

অভিযান পরিচালনাকারী অফিসারা হলেন

১। এসআই/শাহ আলম
২। এসআই/মোঃ বাবুল মিয়া,
৩। এএসআই/আশরাফুল ইসলাম,
৪। এএসআই/রাজিব বড়ুয়া

গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম-ঠিকানাঃ- ১। কুলসুম প্রঃ কুসুম প্রঃ সুমি (২৭) থানা-লক্ষ্মীপুর সদর, জেলা-লক্ষ্মীপুর, বর্তমানে-রৌফাবাদ, হযরত আলীর কলোনী, থানা-বায়েজিদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম, ও তাহার সহযোগী

২। সোহেল (২৯), ৩। খোরশেদা বেগম (৫৫), থানা-শ্রীমঙ্গল, জেলা-মৌলভীবাজার, বর্তমানে-খররা পোঃ নোয়াপাড়া, ওয়ার্ড-২, ইউপি-৯, থানা-মাধবপুর, জেলা-হবিগঞ্জ।

উদ্ধারঃ- ভিকটিম মোঃ আরজু (১৮ মাস)

বাদী মুক্তা বেগম (৩৪), থানা-রাউজান, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমানে-রৌফাবাদ, রাজা মিয়ার কলোনী, থানা-বায়েজিদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম, বলে জানা যায়।

আরও পড়ুন

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে বাতাসে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে লামচর গ্রামের সর্দার বাড়ি সংলগ্ন ডোবায় অর্ধগলিত একটি মরদেহ দেখতে পায় তারা।

চাটখিলে বৃদ্ধের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

বেলায়েত হোসেন আশা করেন দলীয় নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় সর্বসাধারনের ভালোবাসায় তিনি বিপুল ভোটে চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

চাটখিলে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলায়েত এর মতবিনিময়

নোয়াখালীর চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে চাটখিল কামিল মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি সাংবাদিক মেহেদী হাছান রুবেল ভুঁইয়া’র পৃষ্ঠপোষকতায় ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

তিনি দেশবাসীকে মাতৃভাষায় বুঝে বুঝে কুরআন পাঠের আহ্বান জানান।

সারাদেশে অর্থসহ কুরআন পাঠ দিবস পালিত

Comments are closed.