১৩ দিনেও সন্ধান মেলেটি লক্ষ্মীপুরের ২ ব্যবসায়ীর, পরিবারে উৎকন্ঠা

87

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে তুলে নেয়ার ১৩ দিন পরও সন্ধান মেলেটি দুই ব্যবসায়ীর। এতে তাদের পরিবারে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
ব্যবসায়ীদের সুস্থ্যভাবে ফিরে পাওয়ার দাবিতে পরিবারের সদস্যরা সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদিক সম্মেলন করেছে।
নিখোঁজ ব্যবসায়ীরা হলেন- লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব রাজাপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মো. মাসুদ ও হামছাদি ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম।
সাংবাদিক সম্মেলনে ব্যবসায়ী মাসুদের স্ত্রী বিবি আয়েশা ও সাইফুলের বাবা ইসমাইল হোসেন জানান, মাসুদ এবং সাইফুল দীর্ঘদিন থেকে চট্টগ্রাম শহরের অক্সিজেন এলাকায় কাঁচা মালের ব্যবসা করে আসছেন। গত বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) বিকালে চট্টগ্রাম থেকে বাড়ির উদ্দেশে জোনাকী পরিবহন যোগে রওনা হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফেনী-লক্ষ্মীপুর সড়কের বেগমগঞ্জ উপজেলার বড়পোল নামকস্থানে পৌঁছালে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ৫/৬ জন লোক তাদেরকে বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পরে একই গ্রামের মো. আব্দুল মোতালেবের মাধ্যমে জানাজানি হয়। তিনিও চট্টগ্রামের একইস্থানে সুপারি ব্যবসা করেন। ওইদিন একই গাড়িতে একসাথে বাড়িতে আসার জন্য রওনা হন তারা।
এদিকে পরিবারের সদস্যরা নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট খোঁজখবর নিয়েও তাদের কোন সন্ধান পাননি।
পরে বিষয়টি র‌্যাব-১১ এর লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পে লিখিতভাবে জানানো হয়। গত ১৩ দিনেও নিখোঁজ মো. মাসুদ এবং সাইফুল ইসলামের সন্ধান না পাওয়ায় উভয় পরিবারের সদস্যরা গভীর উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় আছেন।
এছাড়াও বেগমগঞ্জ এবং চন্দ্রগঞ্জ থানায় ঘটনাটি সাধারণ ডায়রি করার জন্য গেলে থানায় তাদের সাধারণ ডায়রি (জিডি) গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যদের।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লার সাথে আলাপ করতে একাধিকবার মোবাইলে কল করেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি আবুল খায়ের জানান, ওই দিন আমাদের বেগমগঞ্জে কোন অভিযান ছিলনা। অন্যকোন সংস্থা অভিযান চালিয়েছে কিনা তা আমাদের জানা নেই।

আরও পড়ুন

Comments are closed.