১৩৫ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড নিয়ে নিউইয়র্কে লক্ষ্মীপুরের মেয়ে নাজমুন

বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা হাতে ১৩৫ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড নিয়ে সম্প্রতি কানাডা সফর শেষে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন নাজমুন নাহার।

১৩৫ দেশ ভ্রমণ শেষে যাত্রাপথে কানাডাতে ১৬ দিন অবস্থান করেন নাজমুন। ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যা সাতটায় টরন্টো স্কারবরোর কিংস্টন অফিসে নাজমুনকে অভিনন্দন জানান কানাডার অন্টারিও প্রদেশের পার্লামেন্টের এমপি ডলি বেগম। সেখানে তিনি নাজমুন নাহারকে কানাডার ফ্ল্যাগ ও অন্টারিও প্রদেশের ফ্ল্যাগ পরিয়ে দিয়ে এই অদম্য সাফল্যকে অভিনন্দন জানান।

এক শুভেচ্ছা বার্তায় এমপি ডলি বেগম বলেন, ‘বাংলাদেশকে নাজমুন পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন সারা পৃথিবীতে। বাংলাদেশের পতাকা হাতে নাজমুন নাহারের বিশ্ব ভ্রমণের এই রেকর্ড বাংলাদেশের জন্য এক বিশাল বড় অর্জন। বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য নাজমুন নাহার একটি বড় উৎসাহের পথ সৃষ্টি করছেন। নাজমুন নাহার বাংলাদেশ তথা পৃথিবীর গর্ব। তার এই অর্জনকে আমি সাধুবাদ জানাই এবং পৃথিবী জুড়ে বাংলাদেশের পতাকা উড়ুক এই শুভ কামনা করি নাজমুন নাহারের জন্য।’

নাজমুন নাহারকে টরন্টোতে স্বাগত জানিয়ে ৫ অক্টোবর ‘দেশে বিদেশে’র উদ্যোগে টরন্টো-বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত আসন্ন ফেডারেল নির্বাচনে অসোয়া আসনে লিবারেল মনোনীত প্রার্থী আফরোজা হোসেন বলেন, নাজমুন নাহার একজন সাহসী মানুষের উদাহরণ, তিনি আমাদের বাঙালি জাতির গর্ব।

নাজমুন গত দুই সপ্তাহ ধরে কানাডার অন্টারিও প্রদেশের বিভিন্ন স্থান ওয়েস্টউড, এজাক্স, হেস্টিংস, রোজনেথ, আল্ডারভিল ও উইলোট্রি ফার্ম ঘুরে দেখেছেন।

বিশ্ব ভ্রমণ প্রসঙ্গে নাজমুন বলেন, ‘পুরো পৃথিবী একজন মা। আর আমরা সবাই সেই মায়েরই সন্তান। বর্ণ বৈষম্যহীন ভাবে সবাইকে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হবে।’

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে তিনি ভ্রমণ করেছেন লাতিন আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালা, এল সালভাদর, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া ও কোস্টারিকা। জুন-জুলাই মাসে তিনি সফর করেন কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম ও চীন।

নাজমুন নাহারের লক্ষ্য আগামী দুই বছরের মধ্যেই তিনি জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত পৃথিবীর প্রতিটি দেশে ভ্রমণ করবেন।

সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৯ সালে নাজমুন নাহার পেয়েছেন মিস আর্থ কুইন অ্যাওয়ার্ড, অনন্যা সম্মাননা, অতীশ দীপঙ্কর গোল্ড মেডেল সম্মাননা, জনটা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড, তিনবাংলা সম্মাননা ও রেড ক্রিসেন্ট মোটিভেশনাল অ্যাওয়ার্ড।