নোয়াখালীতে শিশু রাশেদ হত্যার চার বছর; সংঘবদ্ধভাবে বিদেশ পালিয়েছে খুনিরা
প্রেমিকার বিয়ের ঘটকালি করায় ঘটকের শিশু সন্তানকে গলাকেটে হত্যা করে প্রেমিক বিকি ও তার সহযোগীরা
নোয়াখালী চাটখিল উপজেলা খিলপাড়া ইউনিয়ন পশ্চিম দেলিয়াই গনেষ্ট বাড়ির নুর আলমের ছোট ছেলে রাশেদ।
শিশু রাশেদ হত্যার চার বছর অথচ এখনও ন্যায়বিচার পায়নি পরিবার।এদিকে বিদেশ পালিয়েছে শিশু রাশেদের খুনিরা সবাই।
নোয়াখালী চাটখিল উপজেলা খিলপাড়া ইউনিয়ন পশ্চিম দেলিয়াই গনেষ্ট বাড়ির নুর আলমের ছোট ছেলে রাশেদ।
০৯/০৮/২০১৬ ইং দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে স্কুলে পরিক্ষা দিতে যায়। পরিক্ষা শেষে আর বাড়ি ফেরেনি রাশেদ। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ১৫/০৮/২০১৬ তারিখে সকাল ১১টার দিকে অনেকটা কৌশলে রাশেদের বড় ভাইকে ডোবায় লাশ দেখার সংবাদ দেয় শাকিল।
এরপর ১৫/০৮/২০১৮ তারিখ রাশেদের বাবা নুর আলম বাদী হয়ে চাটখিল থানায় অজ্ঞাত নামায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং জি.আর -১২৬২/১৬
পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী আসামি আরমান হোসেন বিকি(১৯) পার্শ্ববর্তী এলাকার আবদুল জলিলের তৃতীয় কন্যা খাদেজা আক্তার পিনুর গোপনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এদিকে শিশু রাশেদের পিতা নুর আলম সেই পিনুর বিয়ের ঘটকালি করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে প্রেমিক বিকি।
প্রেমিকা পিনুর গায়ে হলুদের দিন ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটক নুর আলমের উপর প্রতিশোধ নিতে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শিশু রাশেদকে পরিক্ষা শেষে বিকাল ৩টায় বাড়ির সামনে বাচ্চাদের সাথে খেলা অবস্থায় ডেকে নিয়ে যায় আসামি ইয়াছিল আরাফাত শাকিল (১৮)।
এরপর বিকি ও শাকিল রাশেদকে রিক্সায় করে পার্শ্ববর্তী মফিজ মিয়ার পরিত্যক্ত টিনের বাড়িতে নিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে পৌছায় আসামি কামরুল হাসান ও সেলিম৷ হাসান শিশু রাশেদের গায়ের স্কুলের শার্ট দিয়ে মুখ পেচিয়ে ধরে এবং সেলিম নাইলন দড়ি দিয়ে রাশেদের হাত পা বেঁধে তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে। হত্যা করার পর নিশ্চিত হতে বিকি রাশেদের গলায় ব্লেড দিয়ে ২টি পোঁচ দেয়৷
শিশু রাশেদের হত্যা নিশ্চিত হলে আসামি ইয়াছিন আরাফাত শাকিল, আরমান হোসেন বিকি, মোঃ সেলিম, কামরুল হাসান লাশ গুম করতে পার্শ্ববর্তী কচুরিপানার ডোবায় লাশ ফেলে দেয়।
হত্যা মামলার আসামি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়েই বিদেশ পালিয়েছে!
তবে সমাজকর্মীদের দাবী এধরণের অপরাধে সুবিচার পেতে বিলম্ব হলে নতুন অপরাধ প্রবণতা যেমনি বাড়ে আবার অন্যদিকে মানুষ আইনের প্রতি আস্থাহীন হয়ে পড়ে। খুনিদের বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান খুন করে যদি বিদেশ পালিয়ে যাওয়া যায় এমন নজির সৃষ্টি হলে দেশে এধরণের অপরাধের লাগামটানা অসম্ভব হয়ে পড়বে। পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাকে এসব বিষয়ে আরো বেশি সজাগ থাকতে হবে যেন তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয়।
Comments are closed.