হত্যা! লাশ ঝুলিয়ে রাখে শ্বশুড় বাড়ির লোকজন

হত্যা! লাশ ঝুলিয়ে রাখে শ্বশুর বাড়ির লোকজন

753

নগরীর ২২নং ওয়ার্ডের দূর্গাপুর গ্রামের সুন্দর আলীর মেয়ে সাদিয়া সুলতানা মনি (১৮) কে দক্ষিণ গোপালনগরের শ্বশুর বাড়ীর লোকজন যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।

পরে হত্যার দায় থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পরিকল্পিতভাবে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে লাশ ঝুলিয়ে সাদিয়ার পরিবার ও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।

সাদিয়ার মা ফেরদৌসি বেগম ও পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবছরের ৪ঠা মার্চ সদর দক্ষিণ উপজেলার দক্ষিণ গোপালনগরের তোফাজ্জল হোসেনের কুয়েত প্রবাসী ছেলে বিল্লাল হোসেনের সাথে বিয়ে হয় সাদিয়া সুলতানা মনির।

বরের পরিবার বিত্তশালী হওয়ায় সাদিয়ার পরিবার প্রথমে বিয়ে দিতে রাজী হয়নি। কিন্তু বরের পরিবারের সদস্যরা তখন বলেছিলো, আমরা মেয়ে চাই, ফার্নিচার বা যৌতুক লাগবে না।

বিয়ের দু’মাস পর সাদিয়ার স্বামী যখন কুয়েত চলে যায় তখন শ্বশুড়ের পরিবারের লোকজন সাদিয়াকে বলে, না চাইলে বৌ বেশি আনে, তুমিতো কিছুই আনলে না। কমপক্ষে ফার্নিচারতো আনতে পারতে।

গত ঈদুল আজহার পরদিন সাদিয়াকে মারধর করে তার শ্বাশুড়ী। এ খবর শুনে একদিন পর সাদিয়াকে শ্বশুড় বাড়ী থেকে নিয়ে আসে তার ভাই সাইফুল ইসলাম শুভ। যৌতুক যেহেতু দিতে পারবে না সেহেতু তার পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় সাদিয়াকে আর শ্বশুড় বাড়ীতে পাঠাবে না।

কিন্তু গত ১১ নভেম্বর সাদিয়ার শ্বশুড় তোফাজ্জল মিয়া এসে অনুরোধ করে বলে, আমি বৌ নিতে চাই। কোন ফার্নিচার লাগবে না। কেউ কিছু বলবেও না। কোন সমস্যা হলে আমি এর দায়ভার নেব। পরে সাদিয়াকে তার শ্বশুড় নিয়ে যায়।

মৃত্যুর পরবর্তী সাদিয়ার দেহের কয়েকটি ছবি দেখিয়ে সাদিয়ার মা সাংবাদিকদের বলে, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায়ও সাদিয়ার সাথে আমার কথা বলেছে। তখনও কোন সমস্যার কথা বলেনি।

কিন্তু বিকাল সাড়ে ৩টায় সাদিয়ার শ্বাশুড়ী ফোন করে বলে সাদিয়া ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। আমরা গিয়ে দেখি সাদিয়া ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। শুক্রবার সকালে লাশ গোসলের সময় দেখা যায়, সাদিয়ার সারা শরীরে আঘাতের চিহৃ। আমার বিশ্বাস সাদিয়াকে তার শ্বশুড়, শ্বাশুড়ী, ভাশুর, চাচা শ্বশুড় ও ননদ মিলে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।

শনিবার বিকালে দূর্গাপুর ঈদগাঁ ময়দানে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায়ও সাদিয়ার মা ও এলাকাবাসী এ দাবী করে। দূর্গাপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোটা. শাহ আলম মজুমদার, মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য ও বিশিষ্ট সমাজসেবক খোরশেদ আলম, সাবেক কাউন্সিলর প্রার্থী বিজয় রতন দেবনাথ, মোতাহের চৌধুরী, সমন্বিত পেশাজীবি পরিষদের কুমিল্লা জেলার সমাজ কল্যান সম্পাদক জিল্লুর রহমান সোহাগ (এডভোকেট), সমাজ সেবক হাজী মামুনুর রশিদ, জসিম উদ্দীন, মহানগর যুবলীগের সদস্য দুলাল হোসেন অপু ও ২২ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি শিমুল ঘোষ।

সমাজসেবক ইউনুছ কামাল মুন্সীর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় হাজী কামাল হোসেন, হাজী মনির শেখ, জয়নাল আবদীন, হাবিবুর রহমান রাসেল, সাদেক হোসেন, মানিক মিয়া, সমাজসেবক শহিদুল ইসলাম রাসেল, যুবলীগ নেতা জসিম মিয়া, যুবলীগ নেতা মাছুম, ভুলু, কবির, হালিম, যুবদল নেতা ইউনুছ মিয়া, জসিম মিয়া, যুবলীগ নেতা আলমগীর ও ছাত্রদল নেতা ছোটনসহ এলাকার প্রায় ৫শতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টায় সদর দক্ষিণ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক এমদাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দক্ষিণ গোপালনগরের শ্বশুড়বাড়ী থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সাদিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (৩২/১৮) মামলা রুজু হয়।

আরও পড়ুন

চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের নিন্দা ও প্রতিবাদ।

চাটখিলে সংবাদ সংগ্রহের কাজে বাঁধা- সাংবাদিক লাঞ্ছিত

তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক স্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।

চাটখিলো স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে বিষপান, স্ত্রীর মৃত্যু

মিছিলে সাইমুম শিল্পগোষ্ঠীর সাবেক সঙ্গীত পরিচালক দিদারুল ইসলাম, সাবেক সহকারী পরিচালক একে জিলানী ও শিল্পী ওমর ফারুকসহ দেশের বিখ্যাত কয়েকজন ইসলামিক সংগীতশিল্পী অংশগ্রহণ করেন৷

চাটখিলে সুলতানী আমলের রীতিতে ঈদ মিছিল

মো: জসিম উদ্দিন বলেন, আমি এ গ্রামেরই সন্তান তাই যেকোনো দুর্যোগ মুহূর্তে আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী গ্রামের মানুষকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।

চাটখিলে শিল্পপতি জসিম উদ্দিনের কম্বল বিতরণ

Comments are closed.