সৌদি কারাগারে বন্দি শিশুসন্তানসহ নোয়াখালীর মেয়ে জেসমিন
সাইফুল নামে এক বাংলাদেশির প্রতারণারস্বীকার হয়েছেন মা ও ছেলে। দুবছরের অধিকসময় বন্দিজীবন তাদের।
জেসমিনের শিশুটির জন্ম হয়েছে সৌদি আরবের একটি কারগারে। মা জেসমিন আক্তারের সাথে সেও শাস্তি ভোগ করছে। বাংলাদেশি এক যুবকের চরম প্রতারণার মাশুল গুনছে মা ও শিশুটি।
জেসমিন আক্তার নিজের ভাগ্য বদলে এসে নিজেই এখন সৌদি আরবের জেলে বন্দি।
দরিদ্র পরিবারের সন্তান নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সুদূর প্রবাসে পাড়ি জমায়, সৌদি আরবের অল জুব সাকাকা একটি প্রাইভেট হসপিটালে চাকরি করার সুবাদে কুমিল্লার সাইফুল ইসলামের সাথে পরিচয়ের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ভালোবাসার বন্ধন তৈরি হয়। সাইফুল ইসলামের মনে শুধু প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই ছিলনা। নামেমাত্র বিয়ে করে ঘর সংসার শুরু করে সাইফুল। একপর্যায়ে তাদের গর্ভে সন্তান আসে। যখন জানতে পারে জেসমিন গর্ভবতী হয়েছে তখন সাইফুল ইসলাম সৌদি আরব থেকে পালিয়ে দেশে চলে যায়। জেসমিন যখন গর্ভবতী হয়ে যায় এটা জানাজানি হওয়ার পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেলে রাখে এবং সেখানে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করে যার নাম রাখে আব্দুর রহমান।
ছেলেটির বয়স এক বছর পেরিয়ে গেলেও কখনো আলোর মুখ দেখতে পাইনি। আর জেসমিন দুই বছর এক মাস জেলের মধ্যে বন্দি। গত রোজার মাসে জেসমিন ফেইজবুক মেসেঞ্জারে কল করে এই প্রতিবেদকের সাথে কথা বলে তার জীবনে ঘটে যাওয়া দু:সহ কাহিনি শুনান। তবে সামাজিক পরিবেশের কথা চিন্তা করে তার বাড়ির ঠিকানা গোপন রাখতে অনুরোধ করেছেন জেসমিন। তবে তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর বসুরহাটে বলে তিনি জানান।
জেসমিনের সাথে যোগাযোগ করে-তাকে মুক্তির জন্য বাংলাদেশ থেকে একজন সমস্ত ডকুমেন্টস্ বিবাহের কাবিননামাসহ প্রত্যয়ন পত্রগুলি নিয়ে আসে সেগুলি বাংলাদেশ রিয়াদ দূতাবাসের মাধ্যমে জমা করা হয়।
এরমধ্যে সমস্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ এবং তার পাসপোর্ট প্রস্তুত না থাকার কারণেই দেশে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।
Comments are closed.