সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শাহ আলমের পরিবারের ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়া উপায় নেই
সৌদি আরবের জেদ্দায় বুধবার সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মোহাম্মদপুরের দেউলি গ্রামের শাহ আলম ( ২৬) এর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস শাহ আলমের অকাল মৃত্যুতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার পরিবার ও সন্তানের ভবিষ্যৎ। নিহত শাহ আলম মোহাম্মদপুরের দেউলি এলাকার সায়েন উদ্দিন মোল্লার ছেলে। শহিদুল ইসলাম আকাশ নামের ২ বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে তার ।
নিহত শাহ আলমের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন বলেন, আমরা বুধবার সকালে ফোন পেয়েছি। শাহ আলম ৮ মাস আগে সৌদি আরব যান ফ্রি ভিসায়। অনেক কষ্ট করে ব্র্যাক ও গ্রামীণ ব্যাংক থেতে ৩ লাখ টাকা লোন তুলে এবং ধার দেনা করে ৭ লাখ টাকা খরচ করে তাকে বিদেশ পাঠানো হয়েছে। বড় আশা ছিল লোকজনের দেনা শোধ করে পরিবারের লোকজন নিয়ে সুখে শান্তিতে দিন কাটাবে। আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমি এখন ছোট ছেলে ও বৃদ্ধ শশুর-শাশুড়িকে নিয়ে কী করব ? শাহ আলমের মা হুরিয়া বেগম বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে গোটা পরিবারের লোকজন।
শোকার্ত পিতা সায়েন উদ্দিন মোল্লা জানান, আমার নিজের কোন জায়গা জমি নেই। পরের জায়গায় থাকি। সমিতি থেকে লোন ও ধার দেনা করে অনেক কষ্টে ৭ লাখ টাকা জোগাড় করে ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়েছি মাত্র ৮ মাস হল। এ পর্যন্ত একটি টাকা পাঠায়নি সে। এখন এত দেনা পরিশোধ করার মত ক্ষমতাও নেই আমার। ভিক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই আমার। সরকারের মাধ্যমে দ্রুত মৃতদেহ ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়েছে পরিবার ও স্বজনরা। শেষবারের মতো তার চেহারা দেখতে চান তারা।
Comments are closed.