সোনাইমুড়ীতে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় সন্ত্রাসী হামলা
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় গোলাম ফারুক নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি উপজেলার হাটগাঁও গ্রামের আব্দুল মালেক এ ঘটনার প্রতিকার প্রার্থনা করে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নদনা ইউপির হাটগাঁও গ্রামের আব্দুল গফুর পাটোয়ারী বাড়ির মৃত মোজাফ্ফর মিয়ার পুত্র আব্দুল মালেক দীর্ঘ ২২ বছর মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপসহ বিশে^র বিভিন্ন দেশে জীবিকার তাগিদে প্রবাস জীবনযাপন করে আসছেন। এসময় তার কষ্টার্জিত অর্থকড়ি স্ত্রী রোকসানা আক্তারের ব্যাংক একাউন্টে সঞ্চিত রাখেন। এ সুযোগে তার প্রতিবেশী মৃত মৌলভী আব্দুল খালেকের পুত্র গোলাম ফারুক ও তার অপর সহযোগি আনোয়ার মিয়ার পুত্র নূর মোহাম্মদ গং বিভিন্ন সময় জমিন বিক্রি, বন্দক দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন কিস্তিতে ৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা আদায় করে নেয়। এছাড়া স্থানীয় বাংলা বাজারে দোকান ঘর বন্দক, হাটগাঁও মৌজায় আটশ পঁচাশি নং দাগে ৩ দশমিক ৭৫ একর জমি বিক্রির কথা বলে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে প্রবাসী আব্দুল মালেক মানিক দেশে ফিরে জমিন রেজিস্ট্রি করাসহ সমুদয় টাকা ফেরত চাইলে ফারুখ আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী রোকসানা বেগমকে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় আব্দুল মালেক ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল নোয়াখালী ৩নং বিচারিক আদালতে গোলাম ফারুক ও তার সঙ্গী নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ হাকিম সোনাইমুড়ী থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন এবং আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ বর্ণিত বিষয়ের সত্যতার ভিত্তিতে বিবাদীদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত প্রতিবেদন গ্রহণ করে গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে সে সকল দোষ স্বীকার করে আইনজীবির মাধ্যমে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তারিখে নগদ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা পরে দেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে জামিন চাইলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু বিবাদীরা জামিনে এসে ৭ এপ্রিল ও ১০ এপ্রিল তারিখে দুই দফায় মানিকের পরিবারের উপর হামলা চালায়। জেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে তাঁর বিরুদ্ধে নামে বেনামে লিখিত অলিখিত অভিযোগ দিয়ে প্রশাসনকে প্রভাবিত করে সামাজিক, অর্থনৈতিক ক্ষতিসাধন শুরু করে। গোলাম ফারুকের প্রতারণা, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা,সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিকার চেয়ে আব্দুল মালেক নোয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করলে বিষয়টি তদন্তের জন্য সোনাইমুড়ী থানাকে নির্দেশ দেয়। এবিষয় জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনোয়ার জানায় তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
বিষয়টি জানতে গোলাম ফারুকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।