সেনবাগে গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে উধাও দ্বীপশিখা উন্নয়ন সংস্থা

253

নোয়াখালীর সেনবাগে কয়েকশত নিরীহ মানুষকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে দ্বীপশিখা উন্নয়ন সংস্থার নামের একটি এনজিও। ঘটনাটি ঘটেছে ২৮ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে সেনবাগ পৌরসভার কলেজ রোড সংলগ্ন উত্তর সাহাপুর গ্রামে।
প্রতারণার শিকার সেনবাগ পৌরসভার কাদরা ৫নং ওয়ার্ডের খোকনের স্ত্রী হাসিনা আক্তার জানায়, গত ১০ দিন আগে দ্বীপশিখা উন্নয়ন সংস্থা নামের ওই এনজিও কর্মকর্তা মামুন ঋণ দিবে বলে প্রথম সপ্তাহে একশত টাকা করে সদস্য সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে ৫ হাজার টাকা ডিপোজিটের বিনিময়ে ৫০ হাজার টাকা ও ১০ হাজার টাকা ডিপোজিটের বিনিময়ে ১ লাখ টাকা দিবে বলে টাকা জমা নেন। এরপর রোববার দুপুরে গ্রাহকরা ঋণের টাকার জন্য এসে দেখেন অফিসের প্রধান ফটকের কলাপসিবল গেইটে তালা ঝুলছে। এই খবর দ্রুত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে অন্যান্য ঋণ প্রত্যাশী গ্রাহকরা কার্যালয়টির সামনে ভীড় জমান। এরপর তারা সেনবাগ থানায় গিয়ে বিষয়টি ওসিকে অবহিত করেন। প্রতারণার শিকার আরেক গ্রাহক মিজানুর রহমানজানান, তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার জবা মহিলা সমিতির সদস্য হয়ে ঋণের জন্য ৫ হাজার টাকা জমা দেন কিন্তু রোববার দুপুরে গিয়ে দেখেন অফিসটির গেইট বন্ধ করে কর্মকর্তারা ফাইলপত্র রেখে গ্রহকদের জমা করা টাকা দিয়ে পালিয়ে গেছে। এভাবে প্রতারিত আরো গ্রাহকগণ হলেন সেনবাগের ৪ নং কাদরা ইউপির চাঁদপুর গ্রামের শাপলা মহিলা সমিতির মনোয়ারা ও আফরোজা। সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ওই অফিসে গ্রাহকরা আসলেও এতে তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে সেনবাগ উপজেলা সমবায় অফিসার একেএম মহিন উদ্দিন জানান, এ ধরণের কোন এনজিও সেনবাগে নেই। তিনি এলাকাবাসীকে সর্তক করে জানান, কোন নতুন এনজিও এলাকায় এসে কার্যক্রম শুরু করলে তারা নিবন্ধিত কিনা সে বিষয়ে উপজেলা সমবায় অফিস, সমাজসেবা অফিস ও নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, সেনবাগের ৫নং অর্জুনতলা ইউনিয়নের জৈনিক খোকন তার ইটের দেওয়াল ও টিন ছাউনি দেওয়া বাড়িটি বিক্রির জন্য সাইনবোর্ড ঝুলান। এরপর সেনবাগ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেন ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে এ এনজিওটির নিকট ভাড়া দেয়। গ্রাহকরা তাদের টাকাকড়ি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। দ্বীপশিখা উন্নয়ন সংস্থার স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে সিটি কমপ্লেক্স সার্কুলার রোড, দিলকুশা মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০২। এর রেজিস্ট্রেশন নং-১২০।

আরও পড়ুন

চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের নিন্দা ও প্রতিবাদ।

চাটখিলে সংবাদ সংগ্রহের কাজে বাঁধা- সাংবাদিক লাঞ্ছিত

তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক স্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।

চাটখিলো স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে বিষপান, স্ত্রীর মৃত্যু

মিছিলে সাইমুম শিল্পগোষ্ঠীর সাবেক সঙ্গীত পরিচালক দিদারুল ইসলাম, সাবেক সহকারী পরিচালক একে জিলানী ও শিল্পী ওমর ফারুকসহ দেশের বিখ্যাত কয়েকজন ইসলামিক সংগীতশিল্পী অংশগ্রহণ করেন৷

চাটখিলে সুলতানী আমলের রীতিতে ঈদ মিছিল

মো: জসিম উদ্দিন বলেন, আমি এ গ্রামেরই সন্তান তাই যেকোনো দুর্যোগ মুহূর্তে আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী গ্রামের মানুষকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।

চাটখিলে শিল্পপতি জসিম উদ্দিনের কম্বল বিতরণ

Comments are closed.