শৌচাগারের পাশে শহীদ মিনার, স্থানীয়দের ক্ষোভ
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় কয়েক বছরের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা সদর ওছখালীর প্রাণকেন্দ্রে ঐতিহ্যবাহী এ এম উচ্চ বিদ্যালয়ে শৌচাগারের পাশ ঘেঁষে নির্মিত হচ্ছে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতীক শহীদ মিনার।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে শৌচাগারের পাশ ঘেঁষে নির্মাণাধীন এ শহীদ মিনারটি নিয়ে উল্টো স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। তবু থেমে নেই শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ।
স্থানীয়রা জানায়, মহান ভাষা আন্দোলনের ভাষা শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদের স্মৃতিধারণ ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনার নির্মাণ করা হচ্ছে। এ শুভ লক্ষণ। কিন্তু কষ্ট থেকে যায়, এ এম উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি স্থানীয়দের মতামত উপক্ষো করে এবং কোনো নিয়ম না মেনে শহীদ মিনারটি নির্মাণ করছে। যা দেখলে উল্টো শহীদদের অবমাননা করা হচ্ছে বলে মনে হবে। অনেকেই বলেন, শৌচাগারের পাশ ঘেঁষে শহীদ মিনার নির্মাণ করায় এর সৌন্দর্য্য ও পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া ভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও মহান বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণ একমাত্র এই শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসবেন। কিন্তু সেখানে শৌচাগারের দুর্গন্ধও সহ্য করতে হবে এবং সেখানে একটি অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হবে।
শৌচাগারের পাশে শহীদ মিনার নির্মাণ না করার জন্য একাধিকবার স্থানীয় জনগণ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উল্টো নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে।
এ এম উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আনম হাসান জানান, বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে এ শহীদ মিনার নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে আমি যতটুকু জানি নির্মাণের পর শহীদ মিনার সংলগ্ন শৌচাগারটি ভেঙে ফেলা হবে। এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত বলতে পারবেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন না ধরার ফলে তা সম্ভব হয়নি।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরের এ আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তারা কিছু দিনের মধ্যে শৌচাগারটি ভেঙে ফেলবে।
Comments are closed.