শিক্ষক দম্পতিতে ভরপুর নোবিপ্রবি!

137

তুমি জায়া আমি পতি
দুয়ে মিলে যুগল দম্পতি

এমনি দৃশ্য দেখা যায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী সমাজে। শিক্ষকদের মধ্যে অনেক শিক্ষকই তার জায়াকে নিয়ে এসেছেন শিক্ষক হিসেবে, নয়তো কোন ছাত্রীকেই বিয়ে করে শিক্ষিকা বানিয়েছেন আবার অনেকে ছাত্রীকে শিক্ষক বানানোর স্বপ্নও দেখাচ্ছেন। আবার কেউ শিক্ষক রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন জায়াকে শিক্ষক করতে। আবার কোন ক্ষেত্রে চাকরি পেয়ে দুই শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রণয় ঘটেছে। একই রকম দৃশ্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যেও। তবে সে পরিমাণ কিছুটা কম।

নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাতার ছেড়ে সবেমাত্র যৌবনে পা দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ৪ টি বিভাগ দিয়ে শুরু করা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছরেই নতুন কিছু বিভাগ যুক্ত করে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে। ৩০ টি চলমান বিভাগে ১৫ তম ব্যাচের পদার্পণ হয়েছে সবে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।

তবে শিক্ষার মান ছেড়ে দম্পতি শিক্ষকের সংখ্যা বাড়াতে যেন তড়িঘড়ি করছে সংশ্লিষ্টরা।

যার রেশ পড়েছে শিক্ষার্থীদের মত ভিন্নতায়। তাই বরাবরই প্রসঙ্গে উঠে আসে নোবিপ্রবির শিক্ষক দম্পতিরা। সুযোগের অসৎ ব্যবহার নাকি শিক্ষার প্রকৃত মান গোছানো, তাই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে ৩০ টি বিভাগের কার্যক্রম চলমান। যদিও মাত্র ৪টি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি। তাই বছর বছর এমন নতুন বিভাগ খোলায় সৃষ্টি হয়েছে নতুুন শিক্ষক পদ। যাতে নিয়োগ হয়েছে নবীন সকল শিক্ষকদের। বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে ১৮ জোড়া শিক্ষক দম্পতি। যাদের কেউ বিয়ে করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কোনো সহকর্মীকে। আবার কেউ অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিয়ে করে যোগদান করেন নোবিপ্রবির সৃষ্ট শিক্ষক পদ গুলোতে।

প্রশ্নের শেষ এখানেই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য অর্জনে গবেষণার প্রতি মনোনিবেশ না করে নতুন বিভাগ সৃষ্টিই যেন মূল লক্ষ্য করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এমনটাই অভিযোগ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের। এতে শিক্ষার গুনগত মান নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞ অধ্যাপকেরা। নেই পর্যাপ্ত গবেষণা। এমনকি মোট শিক্ষকের বিচারে কম সংখ্যক সিনিয়র শিক্ষক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের রায়হান তপু ও নুরে জান্নাত একই বিভাগের খন্দকার আশরাফুল ইসলাম ও শিরিন আক্তার, অর্থনীতি বিভাগের মুহাইমিনুল ইসলাম ও দিলরুবা জাহান স্মৃতি একই বিভাগের শফিকুল ইসলাম ও সোনিয়া আফরিন এলি, কৃষি বিভাগের শফিকুল ইসলাম এবং নুসরাত মিথিলা, পরিসংখ্যান বিভাগের ইফতেখার পারভেজ ও মিম্মা তাবাসসুম, ফুড টেকনোলজি ও নিউট্রেশন সায়েন্স বিভাগের তৌহিদ হাসান ও মার্জিয়া সুলতানা, ফিশারিজ বিভাগের মাহবুব ফরহাদ ও এপ্লায়েড ক্যামিস্ট্রি বিভাগের শবনম তানিয়া, ব্যবসায় অনুষদ বিভাগের প্রান্তিকা মুৎসুদ্দি এবং পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের পিনাকি চৌধুরী, ফার্মাসি বিভাগের অরুন্ধতী উমা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সঞ্জয় সাহা সনেট, ফার্মাসি বিভাগের মুহতাসিম বিল্লাহ ও কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের নাহিদা আক্তার, ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সায়েন্স বিভাগের আল আমিন শিকদার ও বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের তাহসিন নাইরুয, ফিশারিজ বিভাগের মোহাম্মদ রাকিব উল হাসান ও কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের নাজিয়া মাজাদি, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের মিজানুর রহমান ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আসমা তালুকদার, এপ্লায়েড ক্যামিস্ট্রি বিভাগের আজিজুল হক অনু ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রাজিয়া সুলতানা, শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের বিক্রম বিশ্বাস ও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফাল্গুনী রায়, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মাসুম মিয়া ও জীববিজ্ঞান বিভাগের সাদিয়া সুলতানা, ফার্মেসী বিভাগের সালাউদ্দিন মিল্লাত ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ফাতেমা আক্তার জেনি। যারা সকলেই শিক্ষক দম্পতি।

নাজমুস সাকিব সাদী নামে এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেন, দিনকে দিন নোবিপ্রবি একটি পারিবারিক রূপ ধারন করছে। পরিবার গঠনের এখন চলছে ‘স্বামী-স্ত্রী’ পর্যায়। কিছুদিন পর শুরু হবে ‘পিতা-পুত্র-কন্যা’, ‘ভাই-বোন’।

এ বিষয়ে অন্য আরেক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, প্রতি বছর শিক্ষক দম্পতি বেড়েই চলছে নোবিপ্রবিতে। তারা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণায় সময় না দিয়ে পারিবারিক খোশ গল্পে মত্ত থাকেন ক্যাম্পাসে। এর ফলে বিরূপ প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের উপর।

এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম হয়েছে কিনা আমার জানা নাই। এই সব নিয়োগের সময় আমি ছিলাম না। আগের ভিসি এ বিষয়ে ভাল বলতে পারবেন। নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নামে ক্লাস ফাঁকির কোন অভিযোগ আসলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ভবিষ্যতে শিক্ষক নিয়োগে এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

আরও পড়ুন

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে বাতাসে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে লামচর গ্রামের সর্দার বাড়ি সংলগ্ন ডোবায় অর্ধগলিত একটি মরদেহ দেখতে পায় তারা।

চাটখিলে বৃদ্ধের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

বেলায়েত হোসেন আশা করেন দলীয় নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় সর্বসাধারনের ভালোবাসায় তিনি বিপুল ভোটে চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

চাটখিলে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলায়েত এর মতবিনিময়

নোয়াখালীর চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে চাটখিল কামিল মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি সাংবাদিক মেহেদী হাছান রুবেল ভুঁইয়া’র পৃষ্ঠপোষকতায় ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

তিনি দেশবাসীকে মাতৃভাষায় বুঝে বুঝে কুরআন পাঠের আহ্বান জানান।

সারাদেশে অর্থসহ কুরআন পাঠ দিবস পালিত

Comments are closed.