শাওয়াল মাসের ফজিলত ও সওয়াব
শাওয়াল হলো- হিজরি সনের দশম মাস। এ মাস আমল ও ইবাদতের জন্য অত্যন্ত উর্বর ও উপযোগী। শাওয়াল মূলত আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো- উঁচু করা, উন্নতকরণ, পাল্লা ভারী হওয়া, গৌরব করা, বিজয় লাভ করা, প্রার্থনায় হাত উঠানো ইত্যাদি। প্রতিটি অর্থের সঙ্গেই শাওয়াল মাসের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
শাওয়াল মাসের আমলে উন্নতি লাভ হয়। নেকির পাল্লা ভারী হয়, আমলে সাফল্য আসে। কল্যাণপ্রত্যাশী আল্লাহর কাছে উভয় হাত প্রসারিত করে প্রার্থনায় মগ্ন হয়। এ মাসে ৬ রোজা রাখার বরকতে বছরজুড়ে রোজা রাখার সাওয়াব মেলে।
আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আল্লাহর (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসের সব ফরজ রোজাগুলো রাখল অতঃপর শাওয়াল মাসে আরও ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারাবছর ধরেই রোজা রাখল। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১১৬৪)
শাওয়াল মাসের এ ছয়টি রোজা পালন করা রাসুল (সা.)-এর সুন্নত। যেহেতু রাসুলে পাক (সা.) নিজে তা আমল করেছেন এবং আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মাসের যেকোনো সময় এ রোজা আদায় করা যায়। ধারাবাহিকভাবে বা মাঝে মাঝে বিরতি দিয়েও আদায় করা যায়। রমজান মাসে ফরজ রোজা ছাড়া অন্য সব রোজার নিয়ত সাহরির সময়ের মধ্যেই করতে হবে। ঘুমানোর আগে বা তারও আগে যদি এই দিনের রোজার ইচ্ছা বা দৃঢ় সংকল্প থাকে, তাহলে নতুন নিয়ত না হলেও চলবে এবং সাহরি না খেতে পারলেও রোজা হবে।
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে শাওয়ালের ৬ রোজাসহ অন্যান্য ইবাদত ইখলাসের সঙ্গে করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Comments are closed.