শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের মাঠ নিয়ে অসন্তুষ্ট বিশ্বকাপ ফুটবল তারকা দানিয়েল

প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগের ভেন্যু হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম। হোম ভেন্যু হিসেবে মাঠটি বেছে নিয়েছে নোফেল স্পোর্টিং ও টিম বিজেএমসি। কিন্তু দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ স্তরের জন্য মাঠটি একেবারেই অনুপযুক্ত।

141

সবুজ ঘাস তো দূরের কথা, মাঠের কোনো অংশে নেই ঘাসই। মাঠ নরম হওয়া দূরের কথা, মাঝখানে আছে ক্রিকেট খেলার পিচ। একটু কৌতূহল দুষ্টি চাইলে খুঁজে পাবে গরুর গোবরও। রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড়দের জন্য ডেকোরেটরের কাপড় ও বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বসার জায়গা। মাঠটিকে দেখে মনে হতে পারে বড়জোর কোনো স্কুল বা কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া আয়োজন। অথচ নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের এমন মাঠেই চলছে প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল।
আজ সে মাঠে পা পড়েছিল কোস্টারিকার জার্সিতে রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা তারকা দানিয়েল কলিন্দ্রেসের। স্বাভাবিকভাবে বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলারের এমন এবড়োখেবড়ো মাঠে খেলার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। খেলতে পারেননি স্বাভাবিক খেলাও। ম্যাচ শেষে তাই যারপরনাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্বকাপ খেলা এই তারকা।
শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামকে নিজেদের হোম ভেন্যু হিসেবে বেছে নিয়েছেন নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব ও বিজেএমসি। আজ বিজেএমসির বিপক্ষেই অ্যাওয়ে ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছেড়েছে বসুন্ধরা। একে তো প্রথমবারের মতো পয়েন্ট হারানো। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে গ্যালারিতে উপস্থিত থাকা দর্শকদের জন্য ভালো ফুটবল উপহার না দিতে পারার কষ্ট। কলিন্দ্রেসের কষ্টটা মূলত গাঁটের পয়সা খরচ করে মাঠে আসা দর্শকদের জন্যই।
কলিন্দ্রসের ক্ষোভ এখানেই, ‘আপনারা যদি দেশের ফুটবল ও বিপিএলের মান উন্নয়ন চান, এমন মাঠে খেলা বন্ধ করতে হবে। এমন মাঠে পেশাদার মানের ফুটবল খেলা সম্ভব নয়। খারাপ মাঠ খেলোয়াড়দের জন্য খুবই বিপজ্জনক। এই মাঠে খেলে দর্শকদের আনন্দ দেওয়া অসম্ভব। দর্শকেরা টাকা খরচ করে সময় বাঁচিয়ে খেলা দেখতে এসে যদি ভালো ফুটবল না দেখতে পারেন, তাঁরা পুনরায় আসবে না। এমন মাঠে চেষ্টা করেও ভালো ফুটবল উপহার দেওয়া সম্ভব নয়।’

আরও পড়ুন

Comments are closed.