লক্ষ্মীপুরে করোনাকালেও দ্বারে-দ্বারে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন মানবতার প্রতীক সাংসদ সেলিনা ইসলাম

গরীব-অসহায়দের হাতে তুলে দিচ্ছেন খাবার ও নগদ অর্থ

148

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের বিত্তশালীরা দেশব্যাপী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। অনেকে বেশি বেশি ঘোষণা দিয়েও সামান্য সহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সারাদেশে বিরামহীনভাবে অসহায় মানুষের পাশে সার্বক্ষণিক অবস্থান করে মানবসেবার এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশের অন্যতম দানবীর ও মানবতার প্রতীক হিসেবে খ্যাত মিসেস সেলিনা ইসলাম সিআইপি। সেলিনা ইসলাম বাংলাদেশের মানবিক রাজনীতির অন্যতম প্রবর্তক, লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সহধর্মিনী।

করোনা আক্রান্তের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও জেলার চারটি নির্বাচনী এলাকার মধ্যে একমাত্র লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসন ছাড়া অন্যান্য আসনের সাংসদদের পক্ষ থেকে সামান্য ত্রাণ বিতরণ করে শুরুতে ফটোসেশন করলেও এখন আর কাউকে লক্ষ্মীপুরে দেখা যাচ্ছে না। সংসদ সদস্য তো দূরের কথা তাদের প্রতিনিধিদেরকেও খুঁজে পাচ্ছে না এলাকাবাসী। রায়পুর আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল লকডাউনের কারণে কুয়েতে স্থল আকাশ ও জলপথ বন্ধ থাকায় তিনি বাংলাদেশে আসতে না পারলেও তার সহধর্মিনী সেলিনা ইসলাম এমপি বিরামহীনভাবে নির্বাচনী এলাকার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে সাধারণ মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে যাচ্ছেন। পাপুল এমপির নির্দেশে এবং তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে তার সহধর্মিনী মিসেস সেলিনা ইসলাম এমপি ইতিমধ্যে ৫০ হাজার লোককে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন এবং ঈদ উপহার বিতরণ করে যাচ্ছেন।

করোনার এই মহাদুর্যোগে অনেকেই নিরাপদ দূরত্বে চলে গেলেও সাধারণ মানুষের মাঝে রয়ে গেছেন সেলিনা ইসলাম এমপি। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি রায়পুরের আনাচে-কানাচে মমতাময়ী মায়ের মত অতি সাধারণের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন এবং খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। করোনার ভয়কে পিছনে ফেলে মানুষের ভালোবাসায় সেলিনা ইসলামের এই পথচলা। স্বামী কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুল এমপির নির্দেশে মানবিক সহায়তা শুধু লক্ষ্মীপুর নয় সারা বাংলাদেশের এক বিরল ঘটনা। মিসেস সেলিনা ইসলাম সিআইপি শুধু লক্ষ্মীপুর নয় কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায়ও করোনার এ দুর্যোগকালীন সময়ে হাজার হাজার লোককে খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছেন। সকালে মেঘনা হলে বিকেলে রায়পুর, আবার দুপুরে রায়পুর হলে রাত্রে মেঘনা। এভাবেই অসহায় মানুষের পিছনে সেলিনার বিরামহীন পথ চলা। একজন নারী, মহিলা সাংসদ হয়েও তৃণমূলের মানুষের কাছে সাহায্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে আসছেন তিনি। ওনার গাড়ি বহর যাওয়ার সময় পথে বৃদ্ধ পথচারীকে দেখে গাড়ি থামিয়ে তার সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং তাকে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করেন। যাত্রাপথে স্কুলগামী ছোট ছোট বাচ্চাদের দেখে উনি গাড়ি থামিয়ে তাদের সাথে হাস্যোজ্জ্বলভাবে ছবি তুলেছেন এবং তাদের উপহার সামগ্রী দিয়েছেন। রায়পুরের দূর-দূরান্তের কোন কঠিন রোগে অসুস্থ রোগী আছে শুনে নিজে স্ব-শরীরে ছুটে গেছেন। আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। ঝড়-ঝাপ্টা পেরিয়ে নিজের পরিবারের কথা চিন্তা না করে মানুষের কল্যাণে ছুটে চলেছেন তিনি। ব্যক্তি সেলিনা ইসলাম কখনো কোন বির্তক কিংবা আতঙ্ককে কর্ণপাত না করে এই করোনাকালেও সগর্বে ছুটে চলেছেন মানুষের বিপদে। একজন সেলিনা ইসলাম এমপির জন্য দেশবাসীর গর্ব করা উচিত। যার কাছে রাজনীতি মানে মানবতা, আর মানবতাই জীবন। মানবতার এই কান্ডারীকে নিশ্চয়ই পুরস্কৃত করবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা এ প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।

আরও পড়ুন

নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন সহকারী প্রোগ্রামার,ইউআইটিআরসিই, ব্যানবেইস মো.জহির উদ্দিন।

নারায়নপুর আর কে উচ্চবিদ্যালয়ের কমিটি গঠন,আবু তালেব সদস্য নির্বাচিত

এ সময় বক্তারা আদালতের রায় ও ডাক্তারের চিকিৎসা পত্র বাংলা ভাষায় লিপিবদ্ধ করার জন্য জোরালো দাবি জানান।

চাটখিল কামিল মাদ্রাসায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

অল্পদিনের মধ্যেই এখানকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গতিশীল হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো অন্যায়, অবিচার, অনিয়ম ও চাঁদাবাজ আমার কাছে প্রশ্রয় পাবে না।

নিজ এলাকায় জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন এইচ এম ইব্রাহিম এমপি

মফস্বলে সাংবাদিকতা করা একটা চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম।

মফস্বল সাংবাদিকতা করা একটা চ্যালেঞ্জ – এইচ এম ইব্রাহিম

Comments are closed.