রায়পুর থেকে পাচার হচ্ছে গলদা চিংড়ির রেণু, সহযোগিতা করছেন প্রভাবশালী চক্র

259

মেঘনা উপকুলীয় লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা থেকে মৌসুমে প্রায় ৩শ কোটি টাকার গলদা চিংড়ি রেণু পোনা যায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। নিষিদ্ধ হওয়া সত্বেও বছরের চৈত্র থেকে জৈষ্ঠ্য মাস পর্যন্ত উপকুলীয় এলাকার প্রায় ১৭ হাজার জেলে মেঘনা নদী ও তার সংযোগ খাল থেকে এ পোনা সংগ্রহ করে। জেলেদের সংগ্রহ করা পোনা কেনার জন্য যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর থেকে মৌসুমের শুরু থেকে প্রতিদিন ব্যবসায়ীরা মেঘনা উপকূলে ভীড় জমাচ্ছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেঘনার চাঁদপুরের হাইমচর থেকে রামগতির আলেকজেন্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার নদী এলাকায় গলদা চিংড়ি পোনার অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র। বছরের চৈত্র মাস থেকে জৈষ্ঠ্য মাস পর্যন্ত এ চিংড়ি চাষের উপযুক্ত সময়। এতে মৌসুমে মেঘনা পাড়ের প্রায় ২০ হাজার জেলে, শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ ও মাঝারি বয়সের ছেলে মেয়েরা মশারি, নেট জাল, মশারি জাল, বিহিন্দি, কারেন্ট ও নেটওয়ার্ক জাল, ছাকনি ও চাদর দিয়ে নির্বিচারে নিধন করছে চিড়িংর রেণু পোনা ( গলদা চিংড়ি) । পোনা শিকারের সময় অন্যান্য প্রজাতির মাছের পোনাও মশারি ও জালে আসলে জেলেরা গলদা চিংড়ির পোনা বেছে নেন। এতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনাও নিধন হয়। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নিরাপদ হিসাবে সড়ক পথ দিয়ে রায়পুর হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার হচ্ছে দেশের গলদা চিংড়ি। এ নিষিদ্ধ রেণু ধরা ও পাচারের সাথে সরাসরি সহযোগিতা করছেন সরকারদলীয় কিছু লোক। তাঁরা নিষিদ্ধ সময়ে কোটি কোটি জাটকা ইলিশ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি মেঘনা পাড়ে গিয়ে যশোর, খুলনা, মাদারীপুর ও বাগেরহাট থেকে পোনা সংগ্রহ করতে আসা ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জেলেদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপকূলীয় নদী এলাকায় মৌসুমে গলদা চিংড়ির পোনার প্রায় ৩০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়। পোনা সংগ্রহ করার জন্য দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে আসেন। এ ব্যবসাকে ঘিরে নদীর পাড়ে বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন হাট বসে। ব্যবসায়ীরা জেলেদের কাছ থেকে প্রতিটি পোনা ২.৫ থেকে ৩ টাকা দরে ক্রয় করেন। তাঁরা ড্রাম ও বড় পাতিল ভর্তি করে পিকআপ ভ্যান, মাঝারি ট্রাক, বাস যোগে দক্ষিণাঞ্চলে নিয়ে চিংড়িঘের মালিকদের কাছে প্রতিটি পোনা বিক্রি করেন ৫ থেকে ৬ টাকায় এবং পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে বিক্রি করার কথা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। ভারতে এই গলদা চিংড়ি রেণুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। খুলনা কপিলমনি থেকে আসা পোনা ব্যবসায়ী রহমান ও খুলনার দেবীপুরের মো. রেজাউল জানান, পোনা কেনার জন্য তাঁরা তিন দিন আগে রায়পুরে এসেছেন। চাহিদা মত পর্যাপ্ত পোনা সংগ্রহ করতে না পারায় স্থানীয় মেঘনা বাজার ও হাজিমারা বাজারে রাত্রি যাপন করেন। রহমান এ বছর ১০ লাখ পোনা সংগ্রহ করবেন বলে জানান। স্থানীয় হাজীমারা গ্রামের সাজু ব্যাপারী বলেন, ‘উপকূলের ২০ হাজার জেলে প্রতিদিন নদী থেকে গলদা চিংড়ির পোনা শিকার করেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এসে পোনা কিনে নিয়ে যান। এ মৌসুমে মেঘনা পাড়ের গলদা চিংড়ি শিকারীদের পকেট জমজমাট, মুখে থাকে হাসি।’ এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রায়পুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন সবুজ বলেন, এ ব্যাপারে আমরা কয়েকটি ইউনিয়নে সচেতনতা সভা করেছি কোস্টগার্ডও তাদের দায়িত্ব পালন করছে। নদী থেকে গলদা চিংড়ির পোনা ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ পোনা ছাকনি বা মশারি দিয়ে ধরার কারণে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনাও ধ্বংস হয়। জাটকার পাশাপাশি এ পোনা শিকারের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। অতিদ্রুত পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন

মো: জসিম উদ্দিন বলেন, আমি এ গ্রামেরই সন্তান তাই যেকোনো দুর্যোগ মুহূর্তে আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী গ্রামের মানুষকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।

চাটখিলে শিল্পপতি জসিম উদ্দিনের কম্বল বিতরণ

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, আমরা চাই বাংলাদেশের সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র ফিরে আসুক।

আমরা চাই বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র ফিরে আসুক: ব্যারিস্টার খোকন

চাটখিল উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে চাটখিল পৌরবাজারের আজিজ সুপার মার্কেট প্রাঙ্গণে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

চাটখিলে পল্টন ট্রাজেডি উপলক্ষে জামায়াতের বিশাল সভা

অভিযান শেষে যারা পুনরায় রাস্তা দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করেছে ছবি দেখে সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

চাটখিলে পুনরায় রাস্তা ও ফুটপাথ দখল উচ্ছেদ অভিযান ও বাজার মনিটরিং

প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মান্নান কামরুল বলেন, 'মিঠু স্যার দীর্ঘদিন থেকে এখানে শিক্ষকতা করছেন। উনার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ অতীতে আমরা কখনো শুনিনি।

চাটখিলে শিক্ষকের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ, অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষক

Comments are closed.