রায়পুরে সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এলাকায় আসছে
যতই ঘনিয়ে আসছে একাদশ সংসদ নির্বাচন ততই লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আন্তঃবোয়াডার এরিয়া হওয়ায় উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা দিন দিন বেড়েই চলছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রায়পুর উপজেলার চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পুলিশের ধরা – ছোঁয়ার বাহিরে। তবে রায়পুর থানার ওসি আজিজুর রহমান মিয়ার দাবী নির্বাচন নিয়ে কোন শঙ্কা নেই। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে প্রশাসন জিরো টলারেন্স।
লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন মহাজোট মনোনিত জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃনোমান ও ঐক্যফ্রন্ট মনোনিত প্রার্থী আবুল খায়ের ভূইয়া। লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত বশিকপুর, উত্তর ও দক্ষিণ হামছাদী, ৩নং দালাল বাজার, চরমননী মোহন, কেরোয়া, ৩নং চরমোহনা, চরবংশী, রায়পুর পৌরসভা এলাকা সমূহ।
লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সভাপতি দক্ষিণ হামছাদি ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগ নেতা আরিফ বলেন, বর্তমান সরকারের সময় লক্ষ্মীপুর সন্ত্রাসমুক্ত হয়েছে। কোন সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশ্রয় প্রশাসন দিবেনা এটিই প্রত্যাশা।
লক্ষ্মীপুরের পূর্বাঞ্চল ঘুরে নাম প্রকাশে একজন আঃলীগ নেতা বলেন, এই অঞ্চলে শীর্ষ সন্ত্রাসী ফরিদ বাহিনীর জসিম, শরিফ এর মতো সন্ত্রাসীরা আঃলীগ নেতাদের জন্য প্রতি মূহুর্ত আতঙ্কের কারন।যেখানে আঃলীগ নেতারা নিরাপদ নয় সেখানে নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের দিনে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা কঠিন।অবিলম্বে তাদের আটক করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করার অনুরোধ করেন।
রায়পুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুল ইসলাম হাওলাদার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গডফাদারদের আটক করে নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য প্রশাসন জোর অনুরোধ করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা ও রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন ও আজিজুর রহমান একাদশ সংসদ নির্বাচন এর পরিস্থিতি নিয়ে আলাপকালে বলেন, এসপি স্যারের নির্দেশ চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স এবং নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার। অপরাধীর বড় পরিচয় সে অপরাধী সে কোন দলের কর্মী বা সংগঠন এর তা দেখার সুযোগ নেই। জামিন নিয়ে এলাকায় এসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্তে প্রমান হলে কোন ছাঁড় নেই বলেও হুঁশিয়ার করেন এই দুই অফিসার।
Comments are closed.