রাস্তা বন্ধ করে ধান চাষ, দুর্ভোগে মানুষ

0 148

লক্ষ্মীপুরে চলাচলের রাস্তার মাটি কেটে ফসলি জমিতে পরিণত করে ধান চাষ করার অভিযোগ উঠেছে। এতে দীর্ঘদিন থেকে প্রায় শত শত নারী-পুরুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে দুর্ভোগে রয়েছেন তারা। অভিযোগ রয়েছে মোস্তাফিজুর রহমান হারুন নামে এক ব্যক্তি ও তার ভাই মিরন মিয়া এবং অপর পক্ষ কুসুম বেগম জোরপূর্বক চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার হাজীরপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব আলাদাতপুর গ্রামে।

এদিকে এঘটনায় সম্প্রতি ভূক্তভোগীদের পক্ষে মনিরা বেগম নামে এক নারী বন্ধ রাস্তা পুনরায় চালুর জন্য লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সুপার অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশকে দায়িত্ব দেন। দীর্ঘকাল পেরুলেও এ ঘটনার কোন সুরাহ হয়নি। এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

অভিযুক্ত হারুন ও মিরণ মিয়া ওই ইউনিয়নের ইউসুফপুর গ্রামের মৃত ওয়াজি উল্যার ছেলে। অপর পক্ষ কুসুম বেগম পূর্ব আলাদাতপুর গ্রামের মৃত আবদুল হাকিমের মেয়ে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রহিম বক্সো পাটোয়ারী বাড়ীর চলাচলের রাস্তায় ধান চাষ করা হয়েছে। এছাড়াও ভিতরের বাকী রাস্তার উপর লাড়কি স্তুপ করে রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়।

স্থানীয় আবুল বাসারসহ কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, পূর্ব আলাদাতপুর গ্রামের রহিম বক্সে পাটোয়ারী বাড়িতে প্রায় শতাধিক মানুষের বসবাস। তাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তার পাশেই অভিযুক্ত হারুনের ধান ক্ষেত ও কুসুম বেগমের বসত বাড়ি। গত বছরের ২ এপ্রিল তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হারুন চলাচলের রাস্তার মাটি কেটে ফসলি জমিতে পরিণত করে ধান চাষ করেন। অপর অংশে কুসুম বেগম রাস্তার লাকড়ি বোঝাই করে চলাচল বন্ধ করে রাখেন। এতেই ওই বাড়ির নারী-পুরুষ ও শিক্ষার্থীসহ প্রায় শতাধিক মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চলাচল করতে না পেরে চরম দূর্ভোগে রয়েছেন তারা। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ভূক্তভোগী মনিরা বেগম জানান, প্রতিদিন শত-শত মানুষের চলাচল করে এ রাস্তা দিয়ে। হারুন ও কুসুম বেগম জোরপূর্বক চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। এতে শিক্ষার্থী ও কর্মীজীবীসহ সবাই দূর্ভোগে রয়েছে। তাদের বাঁধা দিতে গেলেই হারুন, কুসুম বেগম ও তার ছেলে রাফিসহ তাদের লোকজন দা লাঠিসোঁটা নিয়ে মারধর করতে তেড়ে আসে। এঘটনায় অভিযোগ করে এখনো কোন সুরাহ পাচ্ছি না। বর্তমানে আতঙ্ক ও মানবেতর জীবন যাপন করছি আমরা।

এঘটনায় পৃথক পৃথক বক্তব্য জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান হারুন ও কুসুম বেগম দুজনই প্রথমে প্রতিবেদকের উপর উত্তেজিত হয়ে যান। কুসুম বেগম বলেন, আমার বাড়ির পাশে দিয়ে কারো রাস্তা নেই। রাস্তার জন্য আসলে জান নিয়ে যেতে দেবো না। অপর দিকে মোস্তাফিজুর রহমান হারুন বলেন, লক্ষ্মীপুর যেসব নেতারা নিয়ন্ত্রণ করে তাদের সাথে আমার সম্পর্ক আছে। কিছুই হবে না। আমার জমিতে আমি ধান চাষ করেছি। এটা কারো রাস্তা নয়।

এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনাটি অনেক পুরন, তখন আমি দায়িত্বে ছিলাম না। বিষয়টি খোজঁখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।