রামগঞ্জে মহিলালীগ নেত্রীর অশ্লীল ছবি ফাঁস করলেন আরেক মহিলালীগ নেত্রী
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ মহিলালীগ নেত্রী মায়া বেগমের অশ্লীল ছবি ফাঁস হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয়েছে।। মায়া বেগম উপজেলার ৮নং করপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম করপাড়া ওয়ার্ডের মহিলালীগের সাধারন সম্পাদক ও একই গ্রামের সেনের বাড়ির মোঃ আবদুল করিমের স্ত্রী। একই বাড়ির মহিলালীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন আক্তার নিজের মোবাইলে মায়া বেগমের ওই (আপত্তিকর) অশ্লীল ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ায় করপাড়া এলাকা সহ উপজেলাব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ২ছেলে ১মেয়ের মা আওয়ামীলীগ নেত্রীর এমন আপত্তিকর ছবি সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ায় মায়া বেগমের স্বামী আবদুল করিম একই কমিটির মহিলালীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন আক্তারের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
সুত্রে জানায়, উপজেলার পশ্চিম করপাড়া গ্রামের সেনের বাড়ির আব্দুল করিমের স্ত্রী মায়া বেগম দীর্ঘ দিন যাবত গ্রামের মফিজ নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির সাথে পরকিয়া প্রেম এবং অশ্লীল ছবি আদান-প্রদান করে আসছে। এরই সূত্রধরে করপাড়া গ্রামের সেনের বাড়ির মহিলালীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন আক্তার মায়া বেগমের অশ্লীল ছবি জনসম্মুখে প্রকাশ করে দেয়। এর জের ধরে মায়া বেগমের স্বামী আব্দুল করিম ক্ষীপ্ত হয়ে শুক্রবার বিকেলে করপাড়া গ্রামের সিএনজি চালক ও সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিনের মামা কবির হোসেনের উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে রাস্তায় পেলে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন কবিরকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে।
এব্যপারে জানতে জানতে চাইলে করপাড়া মহিলালীগের সাধার সম্পাদক মায়া বেগম প্রতিবেদককে জানান, শারমিন আক্তার আমার খুব কাছের ঘনিষ্ট বান্ধবী ছিলো। সে আমার কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। আনন্দ ফুর্তির এক পর্যায়ে শারমিন তার মোবাইলে এ অশ্লীল ছবিগুলো তুলেছিলো। তবে ছবিগুলো ফেজবুকে ছেড়ে দেওয়া তার ঠিক হয়নি। আমি শীঘ্রই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।
মহিলালীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন আক্তার জানান, মায়া বেগমের কোন স্মার্ট মোবাইল ফোন না থাকায় তার নির্দেশ মোতাবেক আমার মোবাইলে ওই অশ্লীল (আপত্তিকর) ছবিগুলো তুলেছি। আর ওই ছবিগুলো তার পরকিয়া প্রেমিককে দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু এরই ফাকে কে বা কারা আমার নাম ব্যবহার করে একটি ফেসবুক আইডি খুলে ওই সমস্ত অশ্লীল ছবিগুলো পোষ্ট করে দেয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা মহিলালীগের সাধারন সম্পাদিকা,উপজেলা আওয়ামী মহিলালীগের সভানেত্রী ও সংরক্ষিত রামগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুরাইয়া আক্তার শিউলী বলেন, মায়া বেগম ও শারমিন আক্তারকে বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার দায়ে বেশ কয়েক মাস আগে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এরা মহিলালীগের কোন সদস্য পদেও নাই। এর পরেও যদি তারা কোথাও দলের পরিচয় দিয়ে কোন অপকর্ম করে তাহলে তার দায়ভার মহিলা আওয়ামী লীগ নেবেনা।