রামগঞ্জে নিখোঁজের ৩ দিন পর শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ২নম্বর নোয়াগাঁও ইউনিয়নের প্রবাসী এরশাদ হোসেনের মেয়ে ও পশ্চিম নোয়াগাঁও ফয়েজে রাসুল নুরানী মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণির ছাত্রী নুশরাত (৮) নিখোঁজের তিনদিন পর অর্ধগলিত অবস্থায় বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ।
কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপাড়া ঠাকুর বাড়ির সামনের ব্রীজের নিছ থেকে সোমবার সকালে শিশু নুশরাতের লাশ গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এসময় স্থানীয় বেশ কিছু মহিলা শিশু নুশরাতের লাশ দেখে জানান, শিশু নুশরতাকে ধর্ষণের পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে বস্তা বেঁধে লাশ ব্রীজের নিচে ফেলে রেখেছে ধর্ষণকারীরা।
জানা যায়, গত শুক্রবার (২৩ মার্চ) জুমার নামাজের আগে উপজেলার ২নম্বর নোয়াগাঁ ইউনিয়নের পশ্চিম নোয়াগাঁও জামে মসজিদ সংলগ্ন কালা মেস্তুরি বাড়ির প্রবাসী এরশাদ হোসেনের মেয়ে স্থানীয় পশ্চিম নোয়াগাঁও ফয়েজে রাসুল নুরানী মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী নুশরাত জাহান নুশু (৮) নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরও নুশরাত জাহানের কোন খবর না পেয়ে পরদিন শনিবার সকালে নুশরাতের মামা মো. জিয়া উদ্দিন রামগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। একমাত্র মেয়ের নিখোঁজের সংবাদ পেয়ে সৌদি থেকে বাবা এরশাদ মিয়া রবিবার সকালে বাড়িতে চলে আসেন। বর্তমানে তিনি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রয়েছেন।
নিখোঁজের তিনদিন পর সোমবার সকাল ১১টায় পাশ্ববর্তি কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপাড়া গ্রামের ঠাকুর বাড়ি সংলগ্ন ব্রীজের নিছে খালের পানিতে ভাসমান অবস্থায় স্থানীয় শিশুরা একটি বস্তা দেখতে পেয়ে গ্রামের লোকজনকে জানালে এলাকাবাসী রামগঞ্জ থানা পুলিশে খবর দেয়।
রামগঞ্জ থানা পুলিশের এস আই পঙ্কজ কুমার দে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় খাল থেকে তুলে বস্তা খুললে সেখানে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় শিশু নুশরাতের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে নুশরাতের মা রেহানা বেগম ও মামা জিয়াউল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে গায়ের জামা ও কানের দুল দেখে নুশরাত জাহানের লাশ শনাক্ত করে। এসময় মা ও নিকটাত্মীয়দের আহাজারিতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
লাশ উদ্ধার নিয়ে ও স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের কারণে রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. তোতা মিয়া বা পুলিশের কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব না হলেও ওসি তদন্ত মো. ফজলুর রহমান, এ এস আই কাউসারুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।