রামগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার দল্টা বাজারে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছের। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ব্যবসায়ী কাজল পাটোয়ারী, আবু তাহের, মনির মাস্টার, যুবলীগ নেতা সুমন, ইউপি মেম্বার ও ইউপি আওয়ামী লীগের সদস্য হালিম, সাবেক মেম্বার হানিফকে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতাল এবং অন্যদের বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার রাতে শালিসী বৈঠকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, উপজেলার ১০নং ভাটরা ইউনিয়নের দল্টা বাজারস্থ বেক্সিমকো প্রেট্রোলিয়াম গ্যাসের পরিবেশক জাকির হোসেন নিষিদ্ধ ট্রলি ব্যবহার করে ফসলি জমির মাটি কেটে ব্যবসা করে আসছেন। এরই ধারাবহিকতায় ভাটরা ইউপি যুবলীগের সাধারন সম্পাদক জাহিদ হোসেন ওই ট্রলি চলাচলের বাধা দেন। সৃষ্ট ঘটনা মিমাংসা করতে সোমবার সন্ধ্যায় ৭টার দিকে দল্টা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারন সম্পাদক আজাদ চৌধুরীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইউপি মেম্বার আব্দুল হালিম ও সাবেক মেম্বার হানিফের উপস্থিতিতে শালিসী বৈঠক বসে। বৈঠক চলাকালে ইউপি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একটি গ্রুপ মোটরসাইকেল নিয়ে হকস্টিক ও কাঠের টুকরো দিয়ে শালিশী বৈঠকে অতর্কিত হামলা চালায়ভ। এ সময় বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রতিরোধ করলে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হন।
দল্টা বাজারের ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা আজাদ চৌধুরী, কাজল মিয়া, আবু তাহেরসহ কয়েকজন বলেন, গ্যাস ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের নিকট জাহিদ গ্রুপের লোকজন ট্রলি চলাচলে মাসিক ৬ হাজার টাকা করে টাকা দাবি করে। বিষয়টি নিয়ে জাহিদ গ্রুপের সদস্যরা শালিস ডেকে আবার হামলাও করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যুবলীগের সাধারন সম্পাদক জাহিদ হোসেন বলেন, ট্রলি চলাচল করার কারণে দল্টা গ্রামসহ আশপাশের সড়কগুলিতে বিশালাকার গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ইউপি যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শালিশী বৈঠকে উপস্থিত হলে আওয়ামী লীগ নেতা মনির মাস্টার ও তার পরিবারের লোকজন আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়।
রামগঞ্জ থানার দায়িত্বরত ওসি (তদন্ত) মো. ফজলুর রহমান জানান, সংঘর্ষের খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু হকস্টিক উদ্ধার করা হয়েছে। উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।