মিরসরাইয়ে ধর্ষণ মামলায় কবিরাজের যাবজ্জীবন

18

ঝাড়ফুঁক দেওয়ার কথা বলে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানা এলাকায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. হারুন নামে এক কবিরাজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বুধবার (৮ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় দেন। দণ্ডিত আসামি হারুন জোরারগঞ্জ থানার মধ্যম আজমনগর ছুনিমিঝির বাড়ির মৃত মাওলানা আবদুল কুদ্দুসের ছেলে।

রায়ে জরিমানার টাকা ভিকটিমের পরিবারকে দিতে বলা হয়েছে বলে জানান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি খন্দকার আরিফুল আলম।

তিনি বলেন, আটজনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আদালত এ রায় দিয়েছেন। রায়ের সময় আসামী পলাতক ছিলেন বলেও জানান তিনি।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি কবিরাজ নামধারী মো. হারুনের কাছে পানির মোটরচুরির বিষয়ে আয়না পড়ার জন্য যান এক ব্যক্তি। তখন কবিরাজ ঝাড়ফুঁকের জন্য একজন কুমারী লাগবে বলেন জানান। পরদিন ভিকটিম ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে নিয়ে যায়। প্রথমে কিছুক্ষণ ঝাড়ফুঁক ও তাবিজ লিখে দেন। পরে মো. হারুন কবিরাজ ওই শিশুকে নিজের ঘরে নিয়ে তেল মালিশের নাম করে ধর্ষণ করেন। এসময় চিৎকার শুনে লোকজন গিয়ে শিশুকে উদ্ধার করে। পরে তাকে ফেনী জেলা ছাগলনাইয়া পরে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি কবিরাজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন

Comments are closed.