মহাশূন্যে প্রথম হোটেল হবে ২০২৪ সালে
পুরো পৃথিবী গ্রহটি দেখতে আসলে কেমন তা জানতে আর ছবি বা ভিডিওর উপর নির্ভর করতে হবে না। স্বচক্ষে হোটেল রুম থেকেই দেখা যাবে ঘূর্ণমান এই পৃথিবী।
স্পেস স্টেশনে হোটেল রুম তৈরির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ যান নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান ওরিওন স্প্যানর প্রতিষ্ঠাতা বলেন, বর্তমানে এ ধরণের কোনো কিছু আমাদের কল্পনাতীত। তাই এ বিষয়কে অবাস্তব কল্পনা বলেই মনে হওয়াই স্বাভাবিক। কোনো কিছু স্বাভাবিক হওয়ার আগে সব কিছুকেই অসম্ভব বলে মনে হয়।
ওরিওন স্প্যান তাদের অরোরা স্টেশনে হোটেল পরিচালনা করবে। ক্যাপসুলের মতো দেখতে স্পেস স্টেশনটির আকারে হবে জেট প্লেনের সমান। ২০২৪ সালের মধ্যে এই স্পেস স্টেশনে একজন ক্রু সদস্যসহ পাঁচজন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবেন। এখানে ১২ দিন থাকতে খরচ পড়বে ৯৫ লাখ ডলার।
এই হোটেলে থাকলে দিনে ১৬ বার করে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যাবে। জিরো গ্রাভিটিতে চাইলে টেবিল টেনিসও খেলা যাবে।
অভুতপূর্ব এসব কাজ করতে চাইলে এখনই ওরিওন স্প্যানের কাছে জমা দিতে হবে ৮০ হাজার ডলার। ইতোমধ্যে ৩০ ব্যক্তি অরোরা স্টেশনে সিট বুক করতে এ পরিমাণ অর্থ জমা দিয়েছেন।
মহাশুন্যে প্রথম ভ্রমণকারী ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মিলিয়নিয়ার ডেনিস টিটো। ২০০১ সালে তিনি ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস) ভ্রমণে যান। এতে তার খরচ হয় ২০ মিলিয়ন ডলার।
এরপরে আরও কয়েকজন মহাকাশ ভ্রমণে গেছেন। মূলত তখন থেকেই বোয়িং, স্পেসএক্স ও ব্লু অরিজিন মহাশূন্য হোটেল খোলার পরিকল্পনা করে। গত জুনে নাসাও ঘোষণা দেয় প্রতি বছর ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে তারা দুজন করে ভ্রমণকারী নিয়ে যাবে।
সেখানে থাকতে প্রতি রাতে খরচ পড়বে ৩৫ হাজার ডলার। থাকতে হবে প্রায় ১ মাস। নাসার এই প্রকল্প ২০২০ সালেই বাস্তব রূপ পেতে পারে।
Comments are closed.