ভ্রমণবিলাসীদের জন্য নিঝুম দ্বীপ

208

ঘুরতে কার না ভালো লাগে। আর তা যদি হয় নিঝুম দ্বীপ, তবে তো কথাই নেই। নিঝুম দ্বীপ নামটা শুনলেই মনটা কেমন যেন ছটফট করতে থাকে। কারণ নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণবিলাসী মানুষের জন্য অত্যন্ত মনোরম একটি স্থান।

নিঝুম দ্বীপ
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গপসাগরের বুক চিরে জেগে ওঠা ছোট্ট একটি ভূ-খণ্ড।

নামকরণ
বল্লার চর, কামলার চর, চর ওসমান ও চর মুরি এই চারটি প্রধান দ্বীপ ও বেশ কয়েকটি ছোট চরের সমন্বয়ে ১৯৫০ সালের শুরুর দিকে দ্বীপাঞ্চলটি জেগে ওঠে। যার আয়তন প্রায় ১৪,০৫০ একর। প্রথমে স্থানীয় জেলেরা দ্বীপটি আবিষ্কার করে। তারা এর নাম দেয় বালুয়ার চর, যা পরবর্তীতে বল্লার চরে রূপান্তরিত হয়।

তবে কেউ কেউ বলেছেন, দ্বীপটির প্রাচীন নাম চর ওসমান। ওসমান নামের এক ব্যক্তি মহিষের দল নিয়ে সর্ব প্রথম এই দ্বীপে বসবাস শুরু করেন। দ্বীপটি সম্পূর্ণ নিরব হওয়ায় এর নামকরণ করা হয় নিঝুম দ্বীপ।

কিভাবে যাবেন
সড়কপথে: ঢাকার মহাখালী, কমলাপুর ও সায়েদাবাদ থেকে এশিয়া লাইন, এশিয়া ক্লাসিক, একুশে এক্সপ্রেস ও হিমাচল এক্সপ্রেসের বাস যায় নোয়াখালীর সোনাপুর। ভাড়া ৩৫০-৪৫০ টাকা। সেখান থেকে সিএনজিতে চেয়ারম্যান ঘাট। ভাড়া ১০০ টাকা। এরপর ট্রলারে চড়ে যেতে হবে নলচিরা ঘাট। ভাড়া ১৫০ টাকা। সেখান থেকে আবার বাসে জাহাজমারা বাজার। ভাড়া ৭০ টাকা। জাহাজমারা বাজার থেকে মোটরসাইকেলে মুকতারা ঘাট। ভাড়া ৭০ টাকা। মুকতারা ঘাট থেকে ইঞ্জিন নৌকায় নিঝুম দ্বীপ ঘাট। ভাড়া ১০ টাকা। সেখান থেকে আবার মোটরসাইকেলে যেতে হবে নামার বাজার (নিঝুম দ্বীপ)। ভাড়া ৬০ টাকা। তবে সময়ের বিবর্তনে ভাড়ার ক্ষেত্রে তারতম্য হতে পারে। তাই যাতায়াতের শুরুতেই পরিবহন সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে ভাড়া জেনে নিয়ে বাহনে চড়বেন।

নৌপথে যাতায়াত: ঢাকার সদরঘাট থেকে প্রতিদিন পানামা ও টিপু-৫ নামের লঞ্চ হাতিয়ার উদ্দেশে ছাড়ে সন্ধ্যা ৬টায়। ভাড়া ডেক ২০০ টাকা, সিঙ্গেল কেবিন ৭০০ টাকা, ডাবল কেবিন ১২০০ টাকা এবং ভিআইপি ১৬০০ টাকা। সময়মতো লঞ্চ ছাড়লে এবং আবহাওয়া ঠিক থাকলে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চটি পরদিন সকাল ১০টার মধ্যে হাতিয়া লঞ্চঘাটে পৌঁছবে।
পানামা লঞ্চের যোগাযোগ: ০১৭৪০৯৫১৭২০। এছাড়া বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সদরঘাট থেকেও সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনে চট্টগ্রাম থেকে একটি জাহাজ হাতিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

কোথায় থাকবেন
নিঝুম দ্বীপে পর্যটকদের থাকার জন্য অবকাশ পর্যটন নির্মাণ করেছে নিঝুম রিসোর্ট এবং নামার বাজার মসজিদ কর্তৃপক্ষ নির্মাণ করেছে মসজিদ বোর্ডিং।

নিঝুম রিসোর্ট: এই রিসোর্টে ৯টি ডাবল ও ট্রিপল বেডের রুম এবং ৩টি ডরমিটরি রয়েছে যেখানে মোট ২২টি বেড রয়েছে। পুরো নিঝুম রিসোর্টে ৬০ জনেরও বেশি সংখ্যক মানুষ একসঙ্গে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। নিঝুম রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের নিজস্ব জেনারেটরের ব্যবস্থা রয়েছে সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের জন্য।

রিসোর্টের রুম ভাড়া: ২ বেডের (১টি বাথরুম) ডিলাক্স রুমের ভাড়া ১ হাজার টাকা। ৬ বেডের ফ্যামিলি রুমের (১টি চার বেডের রুম ও অন্যটি ২ বেডের রুম এবং ২টি বাথরুম) ভাড়া ২ হাজার টাকা। ১২ বেডের ডরমিটরির (৩টি বাথরুম) ভাড়া ২৪০০ টাকা এবং ৫ বেডের ডরমিটরির (২টি বাথরুম) ভাড়া ১২০০ টাকা। রুমে অতিরিক্ত কেউ থাকলে জনপ্রতি গুনতে হবে ১শ’ টাকা।

নিঝুম রিসোর্টে যোগাযোগ: ইনচার্জ, নিঝুম রিসোর্ট, হাতিয়া, নোয়াখালী। ফোন: ০১৭২৪-১৪৫৮৬৪।

আরও পড়ুন

নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন সহকারী প্রোগ্রামার,ইউআইটিআরসিই, ব্যানবেইস মো.জহির উদ্দিন।

নারায়নপুর আর কে উচ্চবিদ্যালয়ের কমিটি গঠন,আবু তালেব সদস্য নির্বাচিত

এ সময় বক্তারা আদালতের রায় ও ডাক্তারের চিকিৎসা পত্র বাংলা ভাষায় লিপিবদ্ধ করার জন্য জোরালো দাবি জানান।

চাটখিল কামিল মাদ্রাসায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

অল্পদিনের মধ্যেই এখানকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গতিশীল হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো অন্যায়, অবিচার, অনিয়ম ও চাঁদাবাজ আমার কাছে প্রশ্রয় পাবে না।

নিজ এলাকায় জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন এইচ এম ইব্রাহিম এমপি

মফস্বলে সাংবাদিকতা করা একটা চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম।

মফস্বল সাংবাদিকতা করা একটা চ্যালেঞ্জ – এইচ এম ইব্রাহিম

এইচ এম ইব্রাহিম বলেন,আমার নির্বাচনী এলাকার অসুবিধাগ্রস্থ মানুষদের মাঝে অতীতের ন্যায় এবারও আমি শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। আমার নেতাকর্মীদের মাধ্যমে আমি প্রায় পঞ্চাশ হাজার পরিবারের কাছে এই শীতবস্ত্র পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছি।

নোয়াখালী-১ আসনে এইচ এম ইব্রাহিম এমপির শীতবস্ত্র বিতরণ

Comments are closed.