ভোটে লড়বেন সিদ্দিকী পরিবারের তিন ভাই
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আলোচনায় রয়েছেন টাঙ্গাইলের প্রভাবশালী সিদ্দিকী পরিবারের তিন ভাই। হেভিওয়েট প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) থেকে লড়বেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে। আর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী একই আসনের পাশাপাশি টাঙ্গাইল-৮ (সখিপুর-বাসাইল) থেকে নির্বাচন করতে চান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে। তাদের ছোট ভাই মুরাদ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে নির্বাচনে লড়বেন স্বতন্ত্রভাবে। এদিকে বঙ্গবীরের আরেক ভাই শামীম আল মনছুর আজাদ সিদ্দিকীও কালিহাতী আসন থেকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হয়ে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সংসদে প্রতিনিধিত্ব পেতে তারা দৃঢ়প্রত্যয়ী এবং সে লক্ষ্যে কর্মী-সমর্থকরা প্রচারও চালাচ্ছেন।
তাদের পৈতৃক নিবাস মূলত কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের ছাতিহাটী গ্রামে। তাই সিদ্দিকীদের তিন ভাইয়ের ভোটে লড়ার বিষয়টি বর্তমানে টাঙ্গাইলের রাজনৈতিক আলোচনার হট কেক। নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই ও পারিবারিক ঐতিহ্য-কর্তৃত্ব ধরে রাখতে এ নির্বাচন তাদের অ্যাসিড টেস্ট বলেও মনে করছেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি চলছে ভোটের রাজনীতিতে কঠোর হিসাব-নিকাশ।
আবদুল লতিফ সিদ্দিকী
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী কালিহাতী থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। সে লক্ষ্যে তার কর্মী-সমর্থকরা মোট ভোটারের এক শতাংশ স্বাক্ষরও সংগ্রহ করেছেন। যদিও লতিফ সিদ্দিকী কালিহাতী থেকে ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, ১৯৭৩, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে মন্ত্রিত্ব পান। সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন একই দল থেকে। ওই বছরই সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে মন্ত্রিত্ব হারান এবং দলীয় পদ সভাপতিম-লী থেকে অপসারিত হন। সেই সঙ্গে পদত্যাগ করেন সংসদ সদস্য পদ থেকেও।
এর পর ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে হওয়া উপনির্বাচনে তার আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী জয়ী হন। ওই উপনির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হয়ে কাদের সিদ্দিকী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও ঋণখেলাপির কারণে উচ্চ আদালত অযোগ্য ঘোষণা করেন। এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সোহেল হাজারীকেই আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে। আবার এমনও গুঞ্জন রয়েছে, লতিফ সিদ্দিকীকে দলে ফেরানো হতে পারে।
Comments are closed.