‘ভুলটা’ বুঝতে পারলেন নোয়াখালীর সাংসদ ইব্রাহিম
জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনসভায় ‘দুস্কৃতকারীকে পিটিয়ে মেরে ফেলার’ নির্দেশ দেওয়া সমীচীন হয়নি বলে মনে করেন নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ি) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম।
রোববার দুপুরে সোনাইমুড়ি উপজেলার রুবিরহাট বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয় জাতীয়করণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সোনাইমুড়ি উপজেলার মুহুরীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক অনুষ্ঠানে তিনি ‘দুষ্কৃতকারীদের গণপিটুনী দিয়ে মেরে ফেলার’ নির্দেশ দেন। তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রসঙ্গ টেনে রুবিরহাট বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে এইচ এম ইব্রাহিম বলেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিব না। আর আমরা এখন বক্তব্য দিতে গেলেও সাবধান হতে হয়। কোন সময় কোন কথা স্লিপ অব টাং হয়ে যায় – সাংবাদিক ভাইয়েরা থাকেন। ওই কথাটাকে কোট করে সাংবাদিকরা তোলপাড় করে ফেলতেছে। সামনের কথাও নাই, পেছনের কথাও নাই। যাক আমি ওই প্রসঙ্গে যাব না।”
তিনি বলেন, সংসদ সদস্য হিসেবে কথা বলার ক্ষেত্রে অবশ্যয়ই আমাদেরকে অনেক সচেতন হতে হয়। যদিও মানুষ মাত্রই তো তার একটা আবেগ অনুভূতি কাজ করে। সমাজের মানুষের যখন কোনো প্রতিবাদের ঝড় আসে তখন সেটা কিন্তু আমার ঘাড়েও আসে।
“সেক্ষেত্রে আবেগপ্রবন হয়ে হয়তো অসাবধানতাবশত আমাদের অনেক কথাই মুখ দিয়ে বের হয়ে যায়। যদিও সেটা একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আমাদের বলা ঠিক না।”
শুক্রবার সোনাইমুড়ি উপজেলার মুহুরীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দেওটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি বক্তব্য দেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে সংসদ সদস্য দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আমি হুকুম দিয়া দিচ্ছি সমস্ত দুষ্কৃতকারীদেরকে গণপিটুনি দিয়া মেরে ফেলাই দিলে কিচ্ছু হবে না। আপনারা যদি পারেন গণপিটুনি দিয়া মেরে ফেলান।
“যদি কেউ আসামি করে, আমি মামলার এক নম্বর আসামি হব। যান, হুকুম দিয়া গেছি এমপি হিসেবে। যান, আমি আপনাদেরকে কথা দিয়া গেলাম।”
Comments are closed.