ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্র ফয়সাল বাঁচতে চায়
আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স এর চতুর্থ সেমিস্টার শেষ করেছেন।
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল মরণব্যাধি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার বাবা উপজেলার হীরাপুর স্কুল এন্ড কলেজ এর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আজিজুর রহমান।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ফয়সালের শিক্ষক বাবা জানান, চিকিৎসা খরচ মিটাতে গিয়ে তার অবসরকালীন সুবিধার সব টাকা খরচ করেও কোন কূল-কিনারা করতে পারছেন না। এরই মধ্যে চিকিৎসা খরচ চালাতে গিয়ে আত্মীয়-স্বজন থেকে ধারদেনা ছাড়াও জায়গাও বিক্রি করতে হয়েছে তাকে।
চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স এর চতুর্থ সেমিস্টার শেষ করেছেন। এলাকায় একজন মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবেই পরিচিত ছিল শিক্ষক বাবার কনিষ্ঠ এই সন্তান।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করায় ফয়সালকে চিকিৎসকের নিকট নিয়ে গেলে ক্যান্সার ধরা পড়ে। ব্লাড ক্যান্সারে (AML) আক্রান্ত ফয়সাল বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
ফয়সালের বড় ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ফয়সালের কেমোথেরাপি চলছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার ক্যান্সার বর্তমানে ইন্টারমিডিয়েট রিক্স পর্যায়ে রয়েছে। চিকিৎসকরা বোন মেরু ট্রান্সপ্লান্টের পরামর্শ দিয়েছেন। যা সিএমএইচ বা বিদেশে করাতে হবে।’
তার বাবা আজিজুর রহমান বলেন, ‘গত আট-নয় মাসে তার চিকিৎসায় প্রায় ২০ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। বোন মেরু ট্রান্সপ্লান্ট ও আনুষঙ্গিক খরচসহ প্রায় ৩০-৩৫ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হিসেবে এত বড় অঙ্কের টাকা কোথায় থেকে পাবো!’
মানুষের সহযোগিতায় এই মেধাবী শিক্ষার্থীর চিকিৎসা নিশ্চিত করা গেলে; হয়তো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে ফয়সাল। এমনটাই জানিয়েছেন তার স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
Comments are closed.