বৃহস্পতিবারে থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু
প্রথম ব্যাচে ৪৮৫ পরিবারের ২ হাজার ২৬১ জন রোহিঙ্গা ১৫ দিনে মিয়ানমার ফিরে যাবে

সংকট সমাধানে আগামী বৃস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও।
সোমবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে প্রত্যাবাসন নিয়ে বৈঠক শেষে সংবাদকর্মীদের এ তথ্য জানান তিনি।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও বলেন, ‘প্রথম ব্যাচে ৪৮৫ পরিবারের ২ হাজার ২৬১ জন রোহিঙ্গা ১৫ দিনে মিয়ানমার ফিরে যাবে। কক্সবাজারের একাধিক শিবির থেকে প্রতিদিন দেড়শ জন করে রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে মিয়ানমারে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নৌপথে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ফিরে যাবে। প্রতিদিন ফিরে যাওয়ার সময় নির্ভর করবে জোয়ার-ভাটার ওপর।’
এর আগে, সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনার। বৈঠক শেষে তারা কেউই প্রত্যাবাসন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, প্রথম ব্যাচে ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গাদের কম সময়ের জন্য ক্যাম্পে রাখা হবে বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে মিয়ানমার। কারণ মিয়ানমারে তাদের যে বসত ভিটা আছে তা বসবাসের উপযুক্ত। আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গারা তাদের বাড়িতেই উঠতে পারবে।
নেপিডোর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ভারত সরকার ২৮৫টি বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছে ফিরে যাওয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের বসবাসের জন্য। এদিকে চীন সরকার এক হাজার বাড়ির কাঠামো পাঠিয়েছে, যেগুলো সংযোগ করলেই পূর্ণ বাড়িতে রূপ নেবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটির বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বৌদ্ধ-প্রধান রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দমন অভিযান শুরু করলে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে থেকেই বিভিন্ন সময় পালিয়ে আসা চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছিল। বর্তমানে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের আশ্রয়ে রয়েছে।