বাড়িতে ঢুকে চেয়ারম্যানের শিশু পুত্রকে কুপিয়ে খুন
বাড়িতে ঢুকে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানের শিশু পুত্র আল রাফসানকে (৯) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলায় আহত হয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যানের স্ত্রী দিলজাহান বেগম (৩৫)। তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ মে) বিকেল ৪টার দিকে সদরপুর উপজেলা সদরের থানার সামনে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চাপাতি দিয়ে এ ঘটনাটি এক ব্যক্তি ঘটিয়েছেন। তার নাম এরশাদ মোল্লা (৩৫)। তিনি ঢেউখালী ইউনিয়নের ঢেউখালী মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘটনার পর আল রাফসান ও দিলজাহান বেগমকে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আল রাফসানকে মৃত ঘোষণা করেন। দিলজাহানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওমর ফয়সাল বলেন, আল রাফসানকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। দিলজাহানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে সদরপুর ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন ঢেউখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান। মিজানুর রহমান দুই ছেলের বাবা। তার ছোট ছেলের নাম আল রাফসান। রাফসান স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এলাকাবাসী জানায়, সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত একটি সালিস বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের উপর ক্ষুব্ধ হয় একটি পক্ষ। এর ধারাবাহিকতায় এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরী। তিনি বলেন, দুর্বৃত্তদের হামলায় চেয়ারম্যানের ছেলে রাফসান ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
Comments are closed.