ফেনী পরশুরামে দাফনের ২ মাস পর কবর থেকে গৃহবধুর লাশ উত্তোলন
পরশুরামে লাশ দাফনের দুই মাস পর ইসমত আরা (৩৬) নামে এক গৃহবধুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে উপজেলার চিথলিয়া থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
এসময় পরশুরাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসিনা আক্তার, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর উদ্দীন আহমেদ, সিআইডি’র কর্মকর্তারা, চিথলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, স্থানীয় ওয়ার্ডে মেম্বার মোঃ ইসমাইল হোসেন ও স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে উক্ত লাশ উত্তোলন করা হয়।
নিহতের ভাই তাজুল ইসলাম ইসলাস বলেন, ১৯৯৯ সালে মির্জানগর ইউনিয়নের নিজকালিকাপুর গ্রামের মৃত আসলাম মিয়ার মেয়ে ইসমত আরার সাথে চিথলিয়া গ্রামের মৃত বলু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেনের বিয়ে হয় । বিয়ের পর থেকে তারা চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকায় বসবাস করতেন। জাহাঙ্গীর ইলেকট্রিসিটির কাজ করত। তাদের পরিবারে ১১ বছর বয়সী এক মেয়ে ও ৭ বছর বয়সের এক ছেলে রয়েছে।
চলতি বছরের ১ আগষ্ট দিনগত রাতে জানালার গ্রীলের ইসমত আরার গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে তার স্বামী ইলেক্ট্রিক মেস্তুরী জাহাঙ্গীর হোসেন। ইসমতের মা ও তার ১১ বছরের মেয়ে জিনিয়া আক্তার ঘটনা দেখে ওড়না কেটে ইসমত আরার লাশ নিচে নামিয়ে আনেন। এসময় বোন জামাই জাহাঙ্গীর হোসেন শাশুড়ি ও মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন। পরদিন সকালে তড়িঘড়ি করে চিথলিয়া গ্রামের কবরস্থানে ইসমত আরার লাশ দাফন করে চট্টগ্রামের কর্মস্থলে চলে যায় জাহাঙ্গীর।
এঘটনার পর ইসমত আরার ভাই তাজুল ইসলাম বাদি হয়ে চট্টগ্রাম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইসমত আরাকে হত্যার অভিযোগে জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত গৃহবধুর লাশ উত্তোলন ও মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।
পরশুরাম মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো.খালেদ দাইয়ান জানান, আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উঠানো হয়েছে।
Comments are closed.