নোয়াখালী মুক্ত দিবসে র‌্যালী-আলোচনা সভা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা

55

৭ই ডিসেম্বর নোয়াখালী মুক্ত দিবস উপলক্ষে র‌্যালী, আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (০৭ ডিসেম্বর) বিকালে জেলা শহর মাইজদীর প্রধান সড়কে বর্ণাঢ্য র‌্যালী শেষে পিটিআই সংলগ্ন নোয়াখালী মুক্ত মঞ্চ প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিলনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান, মমতাজুল করিম বাচ্চু, মোশারফ হোসেন, জিএস কাশেম, এডভোকেট সারোয়ার-ই-দ্বীন প্রমূখ।

দিবসটি উপলক্ষে সন্ধ্যায় মুক্ত মঞ্চে নৃত্য, গান, মঞ্চ নাটক পরিবেমন করে জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।

উল্লেখ্য- পাকহানাদার মুক্ত হবার আগের দিন ১৯৭১ এর ৬ ডিসে¤¦র জেলার অভ্যন্তরে পাক বাহিনী তাদের মুল ঘাঁটিগুলো থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু তাদের দোসর রাজাকার, আলবদররা জেলা শহর মাইজদীর নাহার মজ্ঞিল, মাইজদীকোর্ট রেল স্টেশন, হরিনারায়নপুর, দত্তের হাট রাজাকার ক্যা¤প ও পাক হানাদার বাহিনীর প্রধান ঘাঁটি পিটিআই এর হোষ্টেলে থেকে যায়। ৬ ডিসেম্বর রাতে বৃহত্তর নোয়াখালীর বিএলএফ প্রধান মাহমুদুর রহমান বেলায়েতের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা জেলা শহর মাইজদীর রাজাকার আল বদরদের ক্যাম্পগুলো ঘিরে অক্রমন চালায়।

সারারাত ও পরদিন বিকাল পর্যন্ত এ যুদ্ধ চলে। এসময় কয়েক জন রাজাকার নিহত হয় এবং অনেকে পালিয়ে যায়। শক্র পক্ষের গুলিতে শহীদ হয়েছেন নোয়াখালী কলেজের অধ্যাপক আবুল হাসেম, ছাত্র নজরুল ইসলাম স¦পন, সরকারী কর্মকর্তা আবদুল জলিল, নাজির বসু মিয়া ও একজন অজ্ঞাত আনসার সদস্য। আহত হন মুক্তিযোদ্ধা মাইন উদ্দিন জাহাঙ্গীর।

আরও পড়ুন

Comments are closed.