নোয়াখালীর পুকুরে পাওয়া গেল ৩৫ ইলিশ
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার একটি পুকুরে ৩৫টি ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ‘যুগান্তর কিল্লা’ এলাকায় পুকুরে সেচের সময় জেলেদের জালে মাছগুলো ধরা পড়ে।
এর মধ্যে তিনটির ওজন প্রায় ৯০০ গ্রাম করে। বাকি ৩২টির প্রতিটির ওজন ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম। কয়েকটি এর ছেয়েও কম ওজনের রয়েছে। মাছগুলো দেখতে আশপাশের লোকজন ভিড় করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘নিঝুমদ্বীপের ‘যুগান্তর কিল্লায়’ ৪০ পরিবারের বসবাস। সবাই ওই পুকুর ব্যবহার করেন। এ বছর আমার বাবা আবদুল মান্নান পুকুরটি কিনে সেচের ব্যবস্থা করেন। গত সাত দিন ধরে পানি কমিয়ে শনিবার শেষ করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবার জাল দিয়ে মাছ তোলার সময় অন্য মাছের সঙ্গে ৩৫টি ইলিশ মাছও ধরা পড়েছে।’
পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নুরুল আফছার দিনাজ।
তিনি বলেন, গত বছর ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে নিঝুমদ্বীপের প্রায় সবগুলো পুকুর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। এর মধ্যে যুগান্তর কিল্লার পুকুরটিও জোয়ারের পানিতে ভরে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই জোয়ারে পুকুরটিতে ইলিশ মাছ ঢুকেছিল। সেখানে সেচ দিয়ে আবদুল মান্নান ৩৫টি ইলিশ মাছ পেয়েছেন।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস ও সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকায় সমুদ্র তীরবর্তী পুকুরে জোয়ারের পানির সঙ্গে ইলিশ মাছ প্রবেশ করা স্বাভাবিক বিষয়। তবে হাতিয়ার পুকুরে পাওয়া মাছগুলো ইলিশ কি না, তা না দেখে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব না। কারণ ইলিশ মাছের মতো দেখতে চাপিলা ও চন্দনাসহ বিভিন্ন মাছ রয়েছে।’
পুকুরে ইলিশ মাছ বেড়ে ওঠা সম্ভব কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন সম্ভব হলে পুকুরে ইলিশ মাছ বেড়ে ওঠা সম্ভব। এ বিষয়ে নানাবিধ গবেষণা চলছে।’
Comments are closed.