নোয়াখালীর তিনটি নৌকার, তিনটিতে লড়াই

179

জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই নোয়াখালীর ছয়টি আসনে বাড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ। বিগত কয়েক দশকের পরিসংখ্যানে জেলার ছয়টি আসন বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিলো। কিন্তু গত ১০ বছর বর্তমান সরকারের উন্নয়নে মুগ্ধ এ জেলার মানুষ। আস্থা পেয়েছে নৌকায়। জেলার তিনটি আসনে নৌকার জয়।নিশ্চিত হয়ে রয়েছে। অপরদিকে অবস্থান ফিরে পেতে মরিয়া বিএনপি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে জেলার ছয়টি আসনে বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ৫৫জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠে রয়েছেন।

জেলার ছয়টি আসনে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নোয়াখালী-১ আসনে এএইচএম ইব্রাহিম, নোয়াখালী-২ আসনে মোর্শেদ আলম, নোয়াখালী-৩ আসনে মো. মামুনুর রশিদ কিরণ, নোয়াখালী-৪ আসনে একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী-৫ আসনে ওবায়দুল কাদের এবং নোয়াখালী-৬ আসনে আয়েশা ফেরদাউস। বিএনপি থেকে নোয়াখালী-১ আসনে ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, নোয়াখালী-২ আসনে জয়নুল আবদিন ফারুক, নোয়াখালী-৩ আসনে বরকত উল্যা বুলু, নোয়াখালী-৪ আসনে মো. শাহজাহান, নোয়াখালী-৫ আসনে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও নোয়াখালী-৬ আসনে প্রকৌশলী ফজলুল আজিমই দলের পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

জেলার ছয়টি আসন ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিগত ১০ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় আওয়ামী লীগে ঝুঁকেছে ভোটাররা। রয়েছে বিএনপির পুরনো বেশ কিছু সমর্থক।

নোয়াখালী-১ আসনে আওয়ামী লীগের সমর্থক প্রায় সমান সমান। এই এলাকায় বিএনপির অনেক পুরনো সমর্থন থাকায়। আস্থাশীল বিএনপি। অপরদিকে আওয়ামী লীগের উন্নয়নেও তৈরি হয়েছে অনেক নতুন ভোট। সব মিলিয়ে এ আসনে লড়াই হবে সমানে সমান।

নোয়াখালী-২ আসনেও বিএনপির সমর্থন বেশি। তবে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোর্শেদ আলমের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক নৌকা প্রতীকের জয় নিশ্চিত করতে মাঠে থাকায় এই আসনে আওয়ামীলীগ-বিএনপি লড়াই হবে বলে ভোটাররা অভিমত প্রকাশ করেছেন।

নোয়াখালী-৩ আসনে আওয়ামী লীগ নেতারা মাঠে সরব রয়েছেন। এছাড়া এই আসনে বিএনপির অবস্থানও বেশ শক্ত। তাই এখানে নির্বাচিত হতে হলে সাধারণ ভোটারদের সমর্থন আদায়ে কৌশলী হবে প্রার্থীদের। তবে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এক্যবদ্ধ হলে মামুনুর রশিদ কিরন নির্বাচিত হতে পারেন।

নোয়াখালী-৪ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী তার নির্বাচনী এলাকায় গত ১০ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন করায় সাধারণ মানুষ তার উপর আস্থা রেখেছেন। সাংগঠনিকভাবেও তিনি দলকে সু-সংগঠিত করেছেন। তাই সাধারণ ভোটার এবং দলীয় নেতাকর্মীরা ধারণা করছেন এবারের নির্বাচনে তিনিই জয়লাভ করবেন।

নোয়াখালী-৫ আসনে আওয়ামীলীগ-বিএনপির দুই প্রার্থীই কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এখানে গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওবায়দুল কাদের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা শর্তেও তিনি এলাকার মানুষকে সময় দেয়ায় ভোটাররা তার উপর আস্থা রেখেছেন। বিএনপি প্রার্থী মওদুদ আহম্মদ এক সময় এলাকায় জনপ্রিয় থাকলেও ওবায়দুল কাদেরের উন্নয়ন এবং সাংগঠনিক শক্তির কাছে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা ভোটারদের।

নোয়াখালী-৬ আসনে ২০১৪ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আয়েশা ফেরদৌস। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় উন্নয়নের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলেন। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী প্রকৌশলী ফজলুল আজিম গত কয়েক বছরে তেমন একটা এলাকায় ছিলেন না এবং এই আসনে সাংগঠনিকভাবেও বিএনপি দুর্বল। তাই এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আয়েশা ফেরদৌসই নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। জনগণ বিএনপির সঙ্গে আছে। এখন ৩০ তারিখের অপেক্ষা করতে হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিম বলেন, আমরা নোয়াখালীতে যে পরিমাণ উন্নয়ন করেছি, তা অন্য কোন সরকার করতে পারেনি। শুধু উন্নয়ন নয়, আওয়ামী লীগ কক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে জেলায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক, ইভটিজিং, চুরি-ডাকাতি সহ সকল ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ করা হয়েছে।

এ জেলায় বর্তমানে জনগণ বসবাসের মত পরিবেশ বিরাজমান। সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের যে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জিত হয়েছে তাতে আগামী ৩০ ডিসেম্বর নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জেলার ছয়টি আসন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিবে জনগণ।

জেলায় রাজনৈতিক সহাবস্থানে থাকায় নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা বজায় রাখলে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে বলেই সবার প্রত্যাশা।

আরও পড়ুন

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে বাতাসে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে লামচর গ্রামের সর্দার বাড়ি সংলগ্ন ডোবায় অর্ধগলিত একটি মরদেহ দেখতে পায় তারা।

চাটখিলে বৃদ্ধের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

বেলায়েত হোসেন আশা করেন দলীয় নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় সর্বসাধারনের ভালোবাসায় তিনি বিপুল ভোটে চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

চাটখিলে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলায়েত এর মতবিনিময়

নোয়াখালীর চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে চাটখিল কামিল মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি সাংবাদিক মেহেদী হাছান রুবেল ভুঁইয়া’র পৃষ্ঠপোষকতায় ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

তিনি দেশবাসীকে মাতৃভাষায় বুঝে বুঝে কুরআন পাঠের আহ্বান জানান।

সারাদেশে অর্থসহ কুরআন পাঠ দিবস পালিত

Comments are closed.