নোয়াখালীর ঘরে ঘরে মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার গ্যাস, প্রসাশন নিরব
নোয়াখালীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাট-বাজারসহ সব ধরনের দোকানেই অবাধে বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাস। সাম্প্রতিক বেশ কিছু সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের কারণে এসব গ্যাস সিলিন্ডার জেলার মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে গ্যাস বোমা নামে।
নোয়াখালীর নয়টি উপজেলা সহ সদর উপজেলার মাইজদী পৌর বাজার, মাইজদী বাজার, গোদার মসজিদ মোড়, দত্তেরহাট, উত্তর সোনাপুর, সোনাপুর পৌর বাজার, মান্নান নগর, চর করমূল্যা বাজার, হানিফ চেয়ারম্যান বাজার, সাহেবের হাট, ইসলামগঞ্জ, ভাটিরটেক চৌমুহনী বাজার, উত্তর ওয়াপদা বাজার, নুরু পাটোয়ারীর হাট, কাশেম বাজার, দানামিয়ার বাজার, বেগমগঞ্জের চৌমুহনী বাজার, এখলাশপুর বাজার, বাংলা বাজার, রমজন বিবি বাজার, সোনাইমুড়ি বাজার, আমিশাপাড়া বাজার, চাটখিল, সেনবাগ বাজার, কানকির হাট,ছারপাইয়া বাজার,সেবার হাট বাজার, কবিরহাট বাজার, চাপরাশিরহাট, আবদুল্যা মিয়ারহাট, বসুরহাট, নতুন বাজার, খাসেরহাট, হারিচ চৌধুরী বাজার, কাঞ্চন বাজার, চেঁওয়াখালী বাজার, চেয়ারম্যানঘাট, হাতিয়া বাজার, উচঁখালী বাজারসহ প্রতিটি অলিতে গলিতে মিলছে সিলিন্ডার গ্যাস।
লাইসেন্স ছাড়াই অন্যান্য নীতিমালার তোয়াক্কা না করে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মুদি দোকান, সেলুন, স্টেশনারি, হার্ডওয়ার এমনকি ফুটপাতেও বিক্রি হচ্ছে এসব সিলিন্ডার গ্যাস। এগুলোর বেশিরভাগই মেয়াদোত্তীর্ণ। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে জনজীবনে।
প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা দোকানের সামনে ফুটপাতে, সড়কের ওপর যেখানে সেখানে গ্যাস সিলিন্ডার রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব ব্যবসায়ীদের সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রিতে নেই কোনো অনুমোদন। নামমাত্র ট্র্রেড লাইসেন্স নিয়েই সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি করছে তারা নেই কোন প্রসাশনিক অভিযান।
নোয়াখালী সদরের ইউএনও মো. আরিফুল ইসলাম সরদার বলেন, যারা নিয়মের তোয়াক্কা না করে, লাইসেন্স ছাড়া ও মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক হুমায়ুন কবির বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে সম্প্রতি নোয়াখালীতে বেশ কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে। সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবসায়ীদের নিয়মের আওতায় আনা হলে দুর্ঘটনা কমবে।
Comments are closed.