নোয়াখালীর গ্লোবের করোনা ভ্যাকসিন তৈরির দাবি
বাংলাদেশের প্রথম ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করেছে গ্লোব ফার্মাসিটিক্যালস। গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ এ বিষয়ে আগামীকাল একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানান।
বুধবার (১ জুলাই) গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। তারা পশুর শরীরে এই ভ্যাকসিনের সফলতা পেয়েছেন এবং একইভাবে মানবদেহেও এর সফলতা পাওয়া সম্ভব।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এনসিবিআই ভাইরাস ডাটাবেজ অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৫ হাজার ৭৪৩টি সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স জমা হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে জমা হয়েছে ৭৬টি। উক্ত সকল সিকোয়েন্স বায়োইনফরম্যাটিক্স টুলের মাধ্যমে পরীক্ষা করে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড তাদের টিকা-র টার্গেট নিশ্চিত করে। যা যৌক্তিকভাবে এই ভৌগোলিক অঞ্চলে অধিকতর কার্যকরী হবে বলে আশা করছেন তারা। উক্ত টার্গেটের সম্পূর্ণ কোডিং সিকোয়েন্স যুক্তরাষ্ট্রের এনসিবিআই ভাইরাস ডাটাবেজ-এ জমা দিয়েছেন যা ইতিমধ্যেই এনসিবিআই কর্তৃক স্বীকৃত ও প্রকাশিত হয়েছে। গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের গবেষণাগারে আবিষ্কৃত টিকাটির বিশদ বিশ্লেষণের পর ল্যাবরেটরি এনিমেল মডেলে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে যথাযথ এন্টিবডি তৈরিতে সন্তোষজনক ফলাফল পেয়েছেন বলে দাবি করছেন তারা।
উল্লেখ্য, গ্লোব বায়োটেক বাংলাদেশে ক্যান্সার, আর্থারাইটিসসহ বেশ কিছু রোগের ড্রাগ উৎপাদন করে। এছাড়া বিভিন্ন সায়েন্টেফিক সেমিনার আয়োজনসহ মেডিসিন খাতে বড় রকমের বিনিয়োগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। দিনে ১০,০০০ করোনা কিট উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে দাবি করে সরকারের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সেক্টরে কার্যক্রম চলমান রাখার আশাবাদ রাখে প্রতিষ্ঠানটি।
তা সত্বেও পূর্ণাঙ্গ ভ্যাক্সিন আবিষ্কার, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল, ব্যবহারের ঝুঁকি, অনুমোদনসহ নানা বাস্তবতায় সহসা কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন যে জনসাধারণ পর্যায়ে পৌঁছাবে না তা অন্তত নিশ্চিত। তার সাথে ভোক্তাপর্যায়ের চাহিদা এবং অর্থ আয়ের হাতছানি দেশী-বিদেশী পর্যায়ে গবেষণার পথ সুগম করলেও এখনো কোভিড-১৯ প্রতিরোধী কোন কার্যকর ভ্যাক্সিন আবিষ্কৃত হয়নি।
Comments are closed.